সাজেদুল হক |
রাজনীতি বড় অদ্ভুত। নানা নাটকীয়তা আর উত্তেজনায় ঠাসা এখন বাংলাদেশের রাজনীতি। ঘটছে বিস্ময়কর সব ঘটনা। বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। অথচ তিনিই কিনা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন সংসদ নেত্রীর সঙ্গে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি সরকারি দলে থাকবে, বিরোধী দলেও থাকবে। রাজনীতির এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ রূপ কবে, কখন আমরা আশা করতে পেরেছিলাম। অতি আশাবাদীদের কল্পনাকেও হার মানিয়েছে বাস্তবতা। তবে অন্যদিকটিও রয়েছে।
গত প্রায় এক মাস ধরেই রওশন এরশাদের স্বামী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বন্দি রয়েছেন হাসপাতাল নামক কারাগারে। এমনকি বৃহস্পতিবারও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি তিনি। তার ভাগ্যে কি জুটতে যাচ্ছে তার জন্য হয়তো আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। এর বাইরেও অবশ্য সাসপেনশনের অভাব নেই। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান এখন কারাগারে। অথচ তার ভাই রাশেদ খান মেনন মন্ত্রিসভার সদস্য। যদিও ভাই-বোনের রাজনৈতিক পথচলা আলাদা। রাশেদ খান মেনন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। এ দলটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জোটের অংশীদার। দীর্ঘ দিন ধরেই দেশে ফৌজদারি মামলায় শীর্ষ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। এর আগে দুই দফায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ আইনজীবী।
বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। সরকারের হার্ডলাইনে বিএনপির বেশির ভাগ নেতা যখন পলাতক তখন দলের পক্ষে মুখ খোলেন তিনি। এ কারণে গ্রেপ্তার হন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার দুই দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করে ঢাকার নিম্ন আদালত। যদিও হাইকোর্ট গতকাল ওই রিমান্ড আদেশ স্থগিত ঘোষণা করেছে। খন্দকার মাহবুব হোসেন কারাবন্দি। অথচ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম উপদেষ্টা ইত্তেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মামা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরেক প্রভাবশালী উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। তার বেয়াই আবদুল আউয়াল মিন্টু-ও এখন বন্দি কারাগারে।