শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে একে পর এক নতুন নতুন মামলা হচ্ছে মিশরের আদালতে। রাজধানীর কায়রোর এক আদালতে গতকাল থেকে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসের এক মামলায় বিচার শুরু হয়েছে। মুরসি ছাড়াও এই মামলায় মুসলিম ব্রাদারহুডের বেশ কজন সিনিয়র নেতাকে আসামি করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
কায়রো থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও বিদেশি শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে মিশরের মাটিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। গত বছরের জুলাই মাসে ইসলামপন্থি মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুহাম্মদ মুরসির শাসনের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র আন্দোলন ও বিক্ষোভের মুখে সামরিক বাহিনী তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।
এতে আরও বলা হয়, মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে তিনটি বিদেশি শক্তির সাথে এক হয়ে কাজ করার অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়। এই তিনটি শক্তি হচ্ছে- ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডস বাহিনী। এই একই অভিযোগে মুরসি ছাড়াও মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় আরও ৩৫ নেতার বিচার শুরু হলো। এর মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ বাদাবি এবং প্রেসিডেন্ট পদে সাবেক একজন প্রার্থী খায়রাত-আল-সাতের। মুরসিকে বর্তমানে বুর্জ আল আরব কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বিচার শুরু হওয়ার আগে গতকাল সকালে তাকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানী কায়রোর পুলিশ একাডেমিতে।
মুহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলায় বিচার চলছে। আরও দুটি মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। যে সময় আদালতে বিচার চলছে তার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন এবং নিজেকে মিশরের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করতে থাকেন। মুরসির সমর্থকরা দাবি করছেন যে, তাদের নেতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।