শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: চীনের রাজধানী বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রীসহ নিখোঁজ মালয়শীয় বিমানের খোঁজে মালয়শিয়া ও ভিয়েতনামের মধ্যবর্তী সাগরে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। থো চু দ্বীপটি দক্ষিণ ভিয়েতনামের দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে থাইল্যান্ড উপসাগরে অবস্থিত। শনিবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
নিখোঁজ বিমানে যাত্রীদের মধ্যে ৮০ শতাংশের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়শীয় এয়ারলাইনের প্রধান কর্মকর্তা আহমেদ জুহারি ইয়াহিয়া। অবশ্য, মালয়শীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে অ্যাডমিরাল ভ্যান ফাত ওই মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন, বিমানটির শেষ অবস্থান ও বেগ বিবেচনা করে এমন ধারণা করা হচ্ছে বিমানটি সম্ভবত ভিয়েতনামের থো চু দ্বীপ থেকে ১৫৩ মাইল দূরে মালয়শীয় জলসীমায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার উদ্ধৃতি দিয়ে এর আগে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অস্বীকার করেছেন অ্যাডমিরাল ফাত।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও মালয়শিয়ার দলগুলো উদ্ধার অভিযান শুরু করলে সবচেয়ে ভালো হয়, তবে অনুরোধ জানানো হলে ফু কুওক দ্বীপে অবস্থানরত ভিয়েতনামি নৌবাহিনীর জাহাজগুলো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।
অপরদিকে, ভিয়েতনাম নৌবাহিনীর কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল নগো ভ্যান ফাত এর উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, বিমানটি মালয়শীয় জলসীমায় বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে। তবে এই তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে মালয়শিয়া সরকার। কুয়ালালামপুরে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সেরি হিশামুদ্দিন বলেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই এবং অনুমানে কোনো কথা না বলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মালয়শিয়ার পরিবহনমন্ত্রী সেরি হিশামুদ্দিন বলেছেন, বিমানটি অবস্থান শনাক্ত করার জন্য আমাদের সামর্থ্যের সবটাই আমরা ব্যবহার করছি। প্রত্যেক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি, বলেন তিনি। আমাদের স্বচ্ছতার ওপর মানুষ আস্থা রাখবে বলেই আমরা আশা করছি। কোনো তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তা প্রকাশ করছি। তবে আমরা তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করে তবেই প্রকাশ করতে চাচ্ছি, বলেন তিনি।