শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে মালয়েশীয় নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। ছবি: এএফপিমালয়েশীয় বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পেছনে চীনের উইঘুর সন্ত্রাসীদের হাত থাকতে পারে—এমন একটা সন্দেহ ঘোঁট পাকাচ্ছে চীনে। এই সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণিত হলে এটি হবে চীনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে উইঘুরদের বড় ধরনের আঘাত। তবে এই সন্দেহের পেছনে জোরালো কোনো ভিত্তি নেই। আজ শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিনেও হদিস মেলেনি বিমানটির। এর মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের রহস্যের জাল। কেউ বলছেন, নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তাঁদের স্বজনদের ফোন বেজেছে। তবে কেউ ধরেননি। সিআইএ, এফবিআই ও মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষ এর পেছনে সন্ত্রাসবাদ বা ছিনতাইয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়নি। এ ছাড়া ইতালি ও অস্ট্রিয়ার দুই ব্যক্তির চুরি যাওয়া পাসপোর্টে দুই যাত্রীর টিকিটি কেনা হয়।
চীন আশঙ্কা করছে, এর পেছনে দেশটির উইঘুর সন্ত্রাসীদের হাত থাকতে পারে। কেননা বিমানের দুই-তৃতীয়াংশ যাত্রীই চীনের। তাই কোথাও না কোথাও এটা হতে পারে, তবে সন্ত্রসীরা কীভাবে বা কোথায় বিমানটি নিয়ে গেছে, এ সম্পর্কে চীন কিছু বলেনি। জিনজিয়ান অঞ্চলের মুসলিম সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উইঘুরকে নিয়মিত আর্থিক সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ দেয় পাকিস্তান।
চলতি মাসের ১ তারিখ একদল হামলাকারী চীনের কুনমিং স্টেশনে অস্ত্র ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এতে ২৯ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, উইঘুর গোষ্ঠী জিহাদের অংশ হিসেবে এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। আর এ ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পেছনে তাদের হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে চীন।