শীর্ষবিন্দু নিউজ: আসামিই যেন দারোগার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে (ইসি)। ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি ইসিতে সেই অভিযোগকারীকেই ইসি তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী জায়েদ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ইসিতে অভিযোগ করেছিলে, জেলা প্রশাসক ও ফেনী জেলার রিটার্নিং অফিসার এনামূল হকের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন যে, আমি নির্দিষ্টসময় (২ মার্চ) মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসি রিটার্নিং অফিসার এনামূল হকের কক্ষে। এর পরে এনামুল হক তার সহকারী সাইফুল ইসলামকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে নির্দেশ দেন।
এর ফলে সাইফুল ইসলমা ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন। এরপরে রিটার্নিং অফিসার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিপরীতমূখী ভূমিকা পালন করেন। দ্রুত জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা আবুল বাশার ও তার স্টাফ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে দরজা বন্ধ করে তার কক্ষে গোপন শলাপরামর্শ করে সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে আমাকে রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে ডেকে বলেন, জামানতের টাকা নগদ দেওয়ার কোনো বিধান নেই।
তিনি জানান, সহকারী রিটার্নিং অফিসার অপর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নূর আহমদ মজুমদারে কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করেছে, তাই আমার মনোনয়নপত্র নিয়ে টালবাহনা করছে। এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জায়েদ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ও টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রিটার্নিং অফিসারের সহকারী আমাকে মারধর করে। এতে করে ইসিতে রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।