নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে ত্রাহি অবস্থা জনজীবনে। দু’দিন ধরে অত্যধিক গরম চলছে। আজ শুক্রবার এবং আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার একই রকম তাপমাত্রা থাকবে। এর পরের সপ্তাহের শনিবারেও একই রকম তাপমাত্রা থাকবে। তবে ওই সপ্তাহের রোববার থেকে তা কমতে থাকবে। তাপমাত্রার ব্যারোমিটার ওঠানামা করলেও গত দুই দিনে কমেনি তাপদাহ। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে। সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৯.১, সর্বনিম্ন ২৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বুধবার একই রকম তাপমাত্রা ছিল ঢাকায়। তবে গতকায় ঢাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৬.৭ এবং সর্বনিম্ন ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনায় ৩৬.৭, সর্বনিম্ন ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশালে ছিল ৩৫.০ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামে ৩০.৮ ও সর্বনিম্ন ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ৩৩.৫ ও সর্বনিম্ন ২২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেট বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ও সর্বনিম্ন ২১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেক ভ্যান-রিকশাচালক দুপুরে অলস সময় কাটিয়েছেন। প্রচণ্ড গরমের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হননি। গরমে সবচেয়ে অস্বস্তিকর অবস্থা শিশু ও বয়স্কদের। ডায়রিয়া, সর্দিজ্বর থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোতে ইনফ্লুয়েঞ্জা, জলবসন্ত নানা ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, অতিরিক্ত রোদ বা গরম এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। সেসঙ্গে গরমে পর্যাপ্ত ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। এদিকে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট থাকায় সাধারণ যাত্রীদের দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। রাজধানীর মহাখালী আইসিডিডিআরবির চিফ ফিজিশিয়ান ডা. প্রদীপ কুমার বলেন, গরমের কারণে প্রতিদিনই ৫০০ থেকে ৫৫০ জন রোগী এখানে ভর্তি হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক রোগীর জন্য আগের অস্থায়ী তাঁবুটিকে বাড়ানো হয়েছে।