নির্বাচন কমিশন (ইসি) শক্তিশালী হলে সরকারের অবৈধ আবদার বন্ধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়- বিকল্প ভাবনা শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার পরিচালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমেনা মোহসীন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সংস্থার (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার প্রমুখ।
ভারত প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতে শক্তিশালী গণতন্ত্র রয়েছে। আমাদের দেশেও রয়েছে। মালিক যেমনই হোক না কেন, তবু আমাদের গণমাধ্যম শক্তিশালী। গণতন্ত্র, গণমাধ্যম, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কিছুর সংমিশ্রণে দেশে গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকতে পারে। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, কোনো দেশে নির্বাচন কমিশন যদি শক্ত হয়, তাহলে সরকারের অবৈধ আবদার বন্ধ করা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, অনেক দিনের পাপের ফলে আমরা এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছি। আমরা এখন অগণতান্ত্রিক অবস্থায় পৌঁছে গেছি। নতজানু আমলাতন্ত্র বাদ দিতে হবে উল্লেখ করে আবুল মকসুদ বলেন, আগের দিনের গোমস্তাদের মতো ব্যবস্থা বাদ দিতে হবে।
মকসুদ বলেন, ছোট দলগুলোকে আপোষহীন অবস্থানে যেতে হবে, বলতে হবে, এই অবস্থা মানি না। প্রয়োজনে যদি জেলে যেতে হয়, তাও রাজি। এভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে নামতে হবে। ভয়ের কিছু নাই। আমি ভালো দল। আমি চিরকাল থাকবো। এমনটি ভাবার কিছু নাই। এজন্য সংগ্রামের জায়গাটিতে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে যেতে আহ্বান জানান তিনি। । ভারতের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ভারতে পেশাদার রাজনীতিবিদ রয়েছেন অনেকে। রাজনীতি ঘরে বসে করা যায় না। বড় রাজনৈতিক দল নিয়ে সমালোচনা করলেই চলবে না। ছোট দলগুলোর ত্রুটি নিয়েও কথা বলতে হবে। ছাত্ররাজনীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সেই ছাত্র রাজনীতি এখন আর নাই। এখন আছে অ-ছাত্রদের রাজনীতি। শিক্ষা ব্যবস্থাকে এখন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তা নাহলে এমন অবস্থায় পড়তে হত না।