বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫

বিমানের লোকসানি ফ্রাঙ্কফুর্ট রোড চালু: প্রথম ফ্লাইটে ২৯ দ্বিতীয় ১৬ জন যাত্রী

বিমানের লোকসানি ফ্রাঙ্কফুর্ট রোড চালু: প্রথম ফ্লাইটে ২৯ দ্বিতীয় ১৬ জন যাত্রী

শীর্ষবিন্দু নিউজ: একের পর এক রুট খুলছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অধিক রুট খুললে বিমান লাভজনক হবে- এই তত্ত্ব থেকেই সর্বশেষ ঢাকা-ফ্রাঙ্কফুর্ট রুট পুনরায় চালু করে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স। এই রুট চালু নিয়ে বিমান বিশাল ঢাকঢোল পিটিয়েছিল। ৬২ হাজার ৩৫৮ টাকার (ট্যাক্সসহ) টিকেটে ৫০ শতাংশ ছাড়ও দিয়েছে। তারপরেও কেন যাত্রী পাচ্ছে না বিমান। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিমান কর্মীদের মধ্যেই।

৪১৯ আসনের বিশাল বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এ গত ৩১ মার্চ ঢাকা-ফ্রাঙ্কফুর্ট রুটে উদ্বোধনী ফ্লাইটে যাত্রী ছিল মাত্র ২৯ জন। ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রী চিল ৫৯ জন। ৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে এই রুটের দ্বিতীয় ফ্লাইটটি মাত্র ১৬ জন যাত্রী নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট যান। সোমবার সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে ফ্রাঙ্কফুর্টে ২৬ যাত্রী বুকিং দিয়েছেন। ফিরতি ফ্লাইটে বুকিং রয়েছে ২৮ জনের। এই রুটে বিমান সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

এয়ারলাইন্সের মার্কেটিং বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপে বিমান কখনোই ব্যবসা করতে পারবে না এবং যাত্রীও পাবে না। কারণ কাতার, এমিরেটস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজের মতো বড় বড় এয়ারলাইন্স ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে সময়পোযুগি উন্নতমানের সার্ভিস দিয়ে এক চেটিয়ে ব্যবসা করে মার্কেট ধরে রেখেছে। এদের হটিয়ে বিমান কখনোই ব্যবসা দখলে নিতে পারবে না। এটি বিমানের শীর্ষ কর্তারাও জানেন।

তিনি বলেন, ফ্রাঙ্কফুর্ট রুটের সাধারণত ব্যবসায়ীরাই যান। ব্যবসায়ীদের তাদের কাজের কারণে দ্রুত কোনো গন্তব্যে যেতে হয় এবং কাজ সেরেই দ্রুততার সঙ্গে আসতে হয়। অথচ এই রুটটিতে সরাসরি ফ্রাঙ্কফুর্ট না গিয়ে মাঝে ইতালীর রোমে যাত্রা বিরতি রাখা হয়েছে। এতে বিমানের যেমন ফ্লাইট প্রতি খরচ বেড়েছে তেমনি যে ধরনের যাত্রীরা এই রুটে যাবেন তারা বাড়তি ঝামেলার কারণে বিমানের ফ্লাইট এড়িয়ে চলবেন।
ফ্রাঙ্কফুর্ট রুট কখনোই বিমানের জন্য লাভজনক ছিল না। দিনের পর পর দিন লোকসান হচ্ছিল এ রুটে। এরই এক পর্যায়ে ২০০৬ সালে বিমান কর্তৃপক্ষ ফ্রাঙ্কফুর্ট, নারিতা, ম্যানচেস্টারসহ ৮টি লোকসানি রুট বন্ধ করে দেয়।

ওই সময় এই রুটে উড়োজাহাজের অর্ধেক আসনেও যাত্রী মিলত না। বিমান চলাচল ব্যবসায় কেবিন ফ্যাক্টর (পুরো উড়োজাহাজের মোট আসনের) ৭৫ শতাংশ যাত্রী না হলে ওই ফ্লাইটে লাভ করা সম্ভব নয়। অথচ এই রুটে দিনের পর দিন বিমানের অর্ধেক কেবিন ফ্যাক্টরও হয়নি। তারপরেও বিমানের সুবিধাভোগী এক শ্রেণীর শীর্ষ কর্তা ব্যক্তি নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার পক্ষে কাজ করে আসছিলেন। তবে কি বিমান ক্রম্বাগত এভাবেই বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে যাবে?

 




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025