দুনিয়া জুড়ে ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ও নিউইয়র্কে ম্যারাথনে দৌঁড় প্রতিযোগিতায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তুত ২ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছে। সোমবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে বস্টন ম্যারাথনে ফিনিশিং লাইনের কাছাকাছি পর পর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ২ জন নিহত ও ৪৯ জন আহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ও আহতদের মধ্যে অধিকাংশই দর্শক। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে লাইব্রেরিতে তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিস্ফোরণের পর জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বোস্টন পুলিশের কর্মকর্তা এড ডেভিস বলেন, দুপুর দুইটা ৫০ মিনিটে বোস্টন ম্যারাথনের ফিনিশ লাইনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটে। দুটি বিস্ফোরণ স্থলের দূরত্ব ছিল ৫০ থেকে ১০০ মিটার। বিস্ফোরণ কোনও সন্ত্রাসী হামলার ফলাফল কিনা কিংবা কোনও ধরনের বোমার বিস্ফোরণ কিনা সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে পারেনি বলে তিনি জানান।
বস্টনের ডাউনটাউন কপলে স্কয়ারে এ দুটি বোমা বিস্ফোরনের পর গোটা এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুত ছুটে এসে আহতদের ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেয় এবং পরে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। অনেককেই ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে লোকজন সরিয়ে দেয়। স্থানীয় সময় বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিষ্ফোরণ দুটি ঘটানো হয়। সোমবার সকালে শুরু হওয়া এই ম্যারাথন দৌড়ে ২৮ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলো। নিউইয়র্কের একটি রেডিও স্টেশনও খবরটি জানিয়ে বলেছে, জেএফকে’র বিস্ফোরণের সঙ্গে বস্টনের বিস্ফোরণের যোগাযোগ থাকতে পারে। তবে পরে অবশ্য বিমানবন্দরের বিস্ফোরণটি বৈদ্যুতিক গোলযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানানো হয়েছে। বস্টন বিস্ফোরণের সঙ্গে এর সম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই জানায় সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে এই হামলার পরপরই এক বিবৃতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যা দেন। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এখনও তা স্পষ্ট না হলেও দায়ি ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে বলেও ঘোষণা দেন ওবামা। অন্যদিকে এই হামলা ঘটনার পর সমগ্র বোস্টন জুড়ে কঠোর সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে বিমান চলাচল ও সাবওয়ে সার্ভিস।
Leave a Reply