ওই প্রস্তাবের বেশিরভাগ দিকই হামাসের পক্ষে গেছে দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে প্রস্তাবনার কয়েকটি ধারা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইসরায়েলের বোঝাপড়া চলছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েয়েছন।
তিনি বলেন, অভিযান বন্ধ করার আগে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে কিছু পরিবর্তন আনতে চায়। হামাসের সুড়ঙ্গগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চায় ইসরায়েল। কেরির প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের দিক থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সংগঠনটির নেতা খালেদ মেশাল সম্প্রতি বলেছেন, গাজা বসতি থেকে ইসরায়েল ও মিশরের অবরোধ প্রত্যাহার হলেই কেবল তারা যুদ্ধবিরতিতে যাবেন।
ইসরায়েলের ১৮ দিনের অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে আটশ’ মানুষ, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে হামাসের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের ৩৪ জন সেনাসদস্য ও দুইজন নাগরিক নিহত হন। শুক্রবারও গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে নিহত হয়েছেন ৫৫ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে হামাসের অন্যতম মিত্র ইসলামিক জিহাদের গণমাধ্যম শাখার প্রধান ও তার ছেলেও রয়েছেন। একদিন আগে গাজার বাইত হানুন এলাকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে কামানের গোলা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি সেনারা। ওই হামলায় অন্তত ১৫ শরাণার্থী নিহত ও অপর দুইশ’ মানুষ আহত হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান না ভিপিল্লাই
বিবিসি জানায়, গাজায় ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে নেদারল্যান্ডসের হেগে অন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধের মামলা করেছেন ফ্রান্সের একজন আইনজীবী। গত ৮ জুলাই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। ১০ দিনের মাথায় এর মাত্রা বাড়িয়ে নৌ ও স্থল অভিযানও শুরু করে তারা। ইসরায়েলের হামলার জবাবে হামাসও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।