আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে ছবি তুলতে গিয়েছিলেন তুর্কি ফটো-সাংবাদিক ওসমান সাগিরলি। তাঁর ক্যামেরা দেখে চার বছর বয়সী এক সিরীয় শিশু এটিকে বন্দুক ভেবে বসে। ভয় পেয়ে ঠোঁট কামড়ে দুই হাত ওপরে তুলে আত্মসমর্পণের ভঙ্গি করে শিশুটি। তার সেই ভঙ্গির ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে রাখেন সাগিরলি।
গত ২৪ মার্চ নাদিয়া আবু শাবান নামের আরেক ফটো-সাংবাদিক ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেন। মর্মস্পর্শী এ ছবিটি টুইটারে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে ছবিটি ১০ হাজার বার টুইট করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, তুরস্কের একটি দৈনিক পত্রিকায় একটি সংবাদের সঙ্গে ছবিটি প্রকাশিত হয়। এটি প্রকাশের সঠিক তারিখ জানা যায়নি। পরে এক ব্যক্তি ওই সংবাদে ফটো-সাংবাদিক ওসমান সাগিরলির বক্তব্যের একাংশ অনুবাদ করেন। এতে বলা হয়, ‘তার চেহারা হঠাৎ করেই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। সে তার দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরে ও ধীরে ধীরে হাত দুটি ওপরে তুলে ধরে। সে একদম চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। যে শিশুটি ক্যামেরাকে মেশিনগান মনে করে এবং ভাবে যে এটি দিয়ে তাকে আক্রমণ করা হবে, তাকে উল্লসিত করে তোলা আসলে সহজ কাজ নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘চার বছর বয়সী আদি হুদিয়া নামের ওই শিশুটি সিরিয়ার হামা শহরে বোমা হামলায় তার বাবাকে হারিয়েছে। সে তার উদ্বিগ্ন মা ও তিন ভাইবোনকে নিয়ে সিরিয়ার তুরস্ক সীমান্তের কাছে আতমেন ক্যাম্পে আসে।’ ২০১২ সালে ওই খবরটি ছাপা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই ছবি দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে টুইটারে। ইউসুফ কোবো নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘শিশুটির চোখে যে ভয়ের ছায়া রয়েছে, তা ভয়ংকর। সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে যে আমাদের উদাসীনতা ও নির্বুদ্ধিতা, তা যুগ যুগ ধরে আমাদের তাড়া করে বেড়াবে।’