শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৯

নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। উন্নত বিশ্বের প্রতিনিধিত্বকারী অন্যতম দু’টি দেশ। সমৃদ্ধ অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসম্মত আবহাওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নিরাপত্তা- সব মিলিয়ে বসবাসের জন্য চমৎকার। তাই দেশ দু’টিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান অনেকে। আর এ সুযোগও অধরা নয়।

বিজেনেস ও ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশন করে অল্পদিনে সহজেই অস্ট্রেলিয়া ‌এবং নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া সম্ভব। বিষয়টি খুব জটিলও নয়, প্রয়োজন নেই খুব বেশি উচ্চশিক্ষার সনদ। তবে উচ্চশিক্ষার সনদ থাকলে মিলবে বাড়তি সুযোগ। এছাড়া বিজনেস রেসিডেন্স ভিসায় মাত্র ৫ বছরে স্থায়ীভাবে বসবাসের অন‍ুমতি পেতে পারেন মালয়েশিয়ায়ও।

এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চিফ কনসালট্যান্ট অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদ (পিএইচডি) বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গার একটি। এখানে ইউরোপ বা আমেরিকার মতো আবহাওয়া সমস্যা নেই। আর সব জাতির অধিবাসীদের এখানে সমান সম্মান জানানো হয়।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে সপরিবারে বিজনেস ও প্রফেশনাল স্কিলড মাইগ্রেশনের সুযোগ। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিগ্রি পাস। আর উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা বাড়তি সুবিধাতো পাবেনই।

রাজু আহমেদ জানান, আইইএলটিএস-এ ৬ থেকে ৬.৫ স্কোর ওঠাতে হবে অস্ট্রেলিয়া অথবা নিউজিল্যান্ড যেতে। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আইএলটিএস-এর বিষয়টি শিথিল রয়েছে। ২৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের যে কেউ আবেদন করতে পারেন।

অস্ট্রেলিয়ায় চারশোর বেশি পেশায় দেওয়া হচ্ছে স্কিলড মাইগ্রেশন। এতে খুব শিগগিরই স্থায়ী রেসিডেন্স ভিসা পাওয়া সম্ভব পুরো পরিবারের।

তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় বিজনেস মাইগ্রেশনের জন্য প্রয়োজন হবে ন্যূনতম আট লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। আর ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশনের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ডলারে ২.২৫ মিলিয়ন এবং নিউজিল্যান্ডে ১.৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে আগ্রহীকে।

বিজনেস রেসিডেন্স ভিসায় ৫ বছরে মালয়েশিয়ার নাগরিক

মালয়েশীয় এসডিএন ও বিএইচডি কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিলেও নাগরিকত্ব পাওয়া বেশ কঠিন। বরং আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা করলে পাঁচ বছর পরে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব (পিআর) পাওয়া বেশ সহজ হয়।

এক্ষেত্রে বড় সুবিধা হলো কোনো মালয় নাগরিকের সুপারিশ প্রয়োজন হয় না। এমনকি অন্য কোনো সংস্থা থেকেও কোনো প্রত্যয়নপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ী ভিসা নিলে মালয়েশিয়া থেকে পৃথিবীর ৭৩টি দেশে মাত্র তিন শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব।

আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা পেতে পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত ও বিজনেস প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। পাসপোর্টের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ব্যাংকের বিবৃতি, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের চারটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর স্থানীয় কমিশনার বা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদ।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদ বলেন, সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024