শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৯

আজ আওয়ামী লীগের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আজ আওয়ামী লীগের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ জুন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্বদানে ছিল অগ্রণী ভূমিকায়।

স্বাধীনতার পর দলটি প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যশন্ত ক্ষমতায় ছিল। এরপর বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি ক্ষমতাসীন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৎকালীন পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ২৫ মার্চের কালরাতে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেয় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। শুরু হয় স্বাধীনতাসংগ্রাম। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ । ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে সরকার শপথ গ্রহণ করে। এই সরকারের নেতৃত্বে সফল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল- স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বাণী দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি মহৎ ও শুভ অর্জনে আওয়ামী লীগের সংগ্রামী ও ত্যাগী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণের পাশে থাকবে। দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদ্য স্বাধীন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন জাতির পিতা তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরের সংগ্রামে ব্যস্ত, তখনই ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তাকে সপরিবারে হত্যা করে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩ নভেম্বর কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং নির্যাতন আর নিপীড়নের মাধ্যমে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় জনগণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। কিন্তু এ অপচেষ্টা কখনই সফল হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। এই সময়টি ছিল জাতির ইতিহাসে স্বর্ণকাল। বাংলাদেশ পরিণত হয় দারিদ্র্য দূরীকরণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, জাতিগত সংঘাত নিরসন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও উদার গণতন্ত্রের রোল মডেলে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক। তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান দলটির বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আওয়ামী লীগের শাসনামলের দেশের বিভিন্ন অর্জন, সাফল্য, উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024