শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৪

রামাদ্বান মাসে লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখে পানি আনলো যে ভিডিও

রামাদ্বান মাসে লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখে পানি আনলো যে ভিডিও

শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: সমাজের এক শ্রেণির মানুষ যেখান ব্যয় করছেন অঢেল অর্থ, সেখানে অন্য এক শ্রেণির মানুষের ইফতার আয়োজন বলতে পানি আর সামান্য শুকনা মুড়ি। এদের অনেকেরই আবার সেহরির সময় মিলে না খাবার। ইফতারের সময় এই পানি-মুড়ি খেয়ে আর সেহরিতে কখনো খেয়ে কখনো না খেয়ে রোজা পালন করছেন তারা।

রাজধানীর নিন্ম আয়ের মানুষের ইফতার আয়োজনের খণ্ডচিত্রে মাছরাঙ্গা টেলিভিশন-এর আনোয়ার হোসেনের ক্যামেরায় নূর সিদ্দিকীর রিপোর্টে ওঠে এসেছে এমন এক পরিবারের তথ্য। যে পরিবারের সবাই ইফতার করেন শুধুই পানি আর মুড়ির মাধ্যমে। সমাজের এক শ্রেণির মানুষ যেখান ব্যয় করছেন অঢেল অর্থ, সেখানে অন্য এক শ্রেণির মানুষের ইফতার আয়োজন বলতে পানি আর সামান্য শুকনা মুড়ি। এদের অনেকেরই আবার সেহরির সময় মিলে না খাবার। ইফতারের সময় এই পানি-মুড়ি খেয়ে আর সেহরিতে কখনো খেয়ে কখনো না খেয়ে রোজা পালন করছেন তারা।

রাজধানীর নিন্ম আয়ের মানুষের ইফতার আয়োজনের খণ্ডচিত্রে মাছরাঙ্গা টেলিভিশন-এর আনোয়ার হোসেনের ক্যামেরায় নূর সিদ্দিকীর রিপোর্টে ওঠে এসেছে এমন এক পরিবারের তথ্য। যে পরিবারের সবাই ইফতার করেন শুধুই পানি আর মুড়ির মাধ্যমে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজধানীর একটি বস্তির সামনে তালাবদ্ধ ঘরের সামনে বসে থাকা আছে সাইদুল নামের এক তরুণ। সবসময় হাসি হাসি মুখ ওর। ইফতারের বাকি মাত্র ৩০ মিনিট। অপেক্ষায় আছেন মায়ের জন্য। মা কখন আসবেন? যদিও এমন প্রশ্ন তাকে করা যায়নি। কারণ সে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইদুলের মা জাহানারা বেগম যখন ফিরে আসেন, তখন ঢাকার অনেক ঘরেই হয়তো ইফতারের বাহারি আয়োজন চলছে। আর জাহানারা বেগম এসে শুরু করলেন ঘর ঝাড়ু দেয়া। আজানের মিনিট পাঁচেক আগে ঘরে ফিরেন বাবা আজিজুল, তার সঙ্গী বৃষ্টি। যিনি পেশায় একজন হকার। তিনজনের এই পরিবারের কষ্টই যেন আকাশের কান্না হয়ে ঝরে পড়ছে!

ততোক্ষণে জাহানারা বেগম ইফতার আয়োজনে হাত দিয়েছেন। পরম যত্নে তিনটি গ্লাসে পানি আর থালায় সামান্য মুড়ি বাড়লেন। আজান শুনে পানিটুকু খেয়ে ফেললেও, মুড়ি যেন নামতে চায় না গলা দিয়ে। অথবা হাত বারবার ঘুরতে থাকে মুড়ির থালায় যেন খুঁজে ফিরে সুস্বাদু কিছু।

ইফতারের এমন আয়োজন দেখেও এগিয়ে যান মাছরাঙার ওই সাংবাদিক। কথা বলেন তাদের সঙ্গে।

সাইদুলের বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, ইফাতারিটা খেতে ভাল লাগলো, টেস্ট লাগলো। শুধু মুড়ি খেলাম আর পানি খেলাম। যা আছে তা দিয়েই ইফতারি করলাম। ইফতারির এমন দশায় সেহরির প্রশ্ন করা অবান্তর। তবুও জানতে চাইলে সাইদুলের মা জাহানারা বেগম বলেন, ভোর রাতে কখনো খাই, কখনো খাই না। অনেক সময় পানি খেয়ে আল্লাহ্র নামে নিয়ত করে রোজা থাকি।

বস্তির ওই ঘরটিতে বিদ্যুতের সংযোগ নেই। ক্যামেরার আলোয় স্বামীর অক্ষমতা বারবার ধরা পরছিল স্ত্রী ও সন্তানের কাছে। অন্ধকারে কারো মুখের দিকে না তাকিয়ে ইফতার ও সেহরি খাওয়াটাই যেন তাদের জন্য শোভন প্রিয়।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024