রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১১

পার্লামেন্ট থেরেসা মে`র ড্রাফট ইনভেস্টগেরি পাওয়ার বিল উত্থাপন

পার্লামেন্ট থেরেসা মে`র ড্রাফট ইনভেস্টগেরি পাওয়ার বিল উত্থাপন

 

শীর্ষবিন্দু নিউজ: রিটিশ পার্লামেন্ট নিউ সার্ভিলেন্স আইন উথাপিত। ড্রাফট ইনভেস্টগেরি পাওয়ার বিল সংসদে উত্থাপন করেছেন হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে। মিসেস মে তার এই নয়া উদ্যোগ বিগত ২০১৩ সালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির বাধার মুখে ভেস্তে গিয়েছিল।

থেরেসা মে চাচ্ছেন বর্তমান মুহুর্তে বিশ্বের সব চাইতে শক্তিশালী এবং টাফ কম্যুনিকেশন্স আইন প্রণয়ন করতে, তার মতে এর আগে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীদের এতো ডাটা সংগ্রহের সুযোগ বা অধিকার ছিলোনা, যা অভারসি করা হতো, সরকার চাচ্ছে সেগুলোকে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে পুংখানুপুংখভাবে দেখভাল, বিশ্লেষণ এবং অথরাইজেশন করার। এতে সাংবাদিকেরাও বাদ যাবেননা, তাদেরকেও সব ডাটা অ্যাক্সেস দিতে হবে সিকিউরিটি সার্ভিসের লোকদের।

তবে হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে বলেছেন, সাংবাদিকদের জার্নালিস্টিক ডাটা চাওয়া হবেনা, যতোক্ষণ না সেক্রেটারি সাইন করেন- ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন, যদি না সেটা খুব জরুরী বলে প্রতীয়মান হয়। আর সে ক্ষেত্রেই কেবল সেক্রেটারি অব ষ্ট্যাট ওয়ারেন্টের জন্য সাইন করবেন।

সরকার বলছে, নতুন আইনে এমপি, মন্ত্রী, এমইপিদের, পিআরদের কম্যুনিকেশন্সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সেইফ গার্ড করা হবে। আইন চূড়ান্তকরনের আগে প্রাইম মিনিস্টার কনসাল্টেশন করবেন বলে জানা গেছে।

হোম সেক্রেটারি উত্থাপিত বিলে পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস এই সকল বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা, তদন্ত করতে পারবে। ইন্টারনেট ব্রাউজ হিস্ট্রি এক বছর পর্যন্ত রাখার বিধান রেখে নতুন পাওয়ার বিল উত্থাপন করেছেন। যা হলো:

– সিকিউরিটি সার্ভিস ও পুলিশকে তদারকির জন্য নিউ ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ার কমিশনার নিয়োগ দেয়া হবে।

– ইন্টারনেট কোম্পানী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ডাটা, ব্রাউজিং হিস্ট্রি এক বছর পর্যন্ত রাখতে হবে- তবে এতে ফুল বাউজিং হিস্ট্রি নয় বলে বিলে উল্লেখিত রয়েছে।

– গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা এজেন্সি সমূহকে সন্দেহভাজনদের ডিভাইসে ইলেক্ট্রনিকভাবে ইন্টারফেয়ার করার সুযোগ ও সহায়তা করতে হবে।

– কম্যুনিকেশনস কোম্পানীদের সরকারি নিরাপত্তা এজেন্সিসমূহকে এই সব ডাটা, তথ্য, ব্রাউজিং হিস্ট্রি, কম্পিউটর, স্মার্ট ফোন ডিভাইস হিস্ট্রি, যোগাযোগের বিস্তারিত বিষয় সমূহ প্রদানে সহায়তা করতে হবে।

– জুডিশিয়াল কমিশনার হিসেবে সাত জন বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়া হবে- কোম্পানিদের কাছ থেকে কালেক্টকৃত তথ্য এজেন্সিসমূহ করার পর দেখভাল ও বিবেচনা এবং সিনিয়র মিনিস্টার কর্তৃক সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের সাইন করার পর ভেটো দেয়ার ক্ষমতা থাকবে জাজদের।

বর্তমানে এই সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে সেটা অনেক কমপ্লিকেটেড এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন আইন থাকায় থেরেসা মে চাচ্ছেন সবগুলো আইনকে যোগোপযোগির মাধ্যমে একটি মাত্র ছাতার নীচে নিয়ে আসার।

হিউম্যান রাইটস গ্রুপ লিবার্টির শামী চক্রবর্তী বলেছেন, এমপিদের উচিত মন্ত্রীদের ফোর্স করা এই আইন পরিবর্তন করা থেকে বিরত রাখা। তার মতে সরকার সাংবিধানিক আইন ভঙ্গ করে নারী, পুরুষ, শিশু সবার ইন্টারনেট হিস্ট্রি দেখতে চাচ্ছে- এটা অনধিকার চর্চা।

 




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025