বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৭:১২

আশার আলো হিসেবে ক্যান্সার চিকিৎসা সোরিনাম থেরাপি

আশার আলো হিসেবে ক্যান্সার চিকিৎসা সোরিনাম থেরাপি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শীর্ষবিন্দু নিউজ: ক্যান্সারের প্রকোপে এখনও প্রাণ হারাচ্ছেন কোটি মানুষ। তবে বর্তমানে সঠিক ও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার সৌজন্যে কোটি কোটি মানুষ নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হল্রে কর্কট অর্থাৎ ক্যান্সরের মতো ঘাতক ব্যাধিকে সমূলে উচ্ছেদ করা যায়নি।

পৃথিবীতে মানুষ এই রোগের সঠিক চিকিৎসার জন্য পশ্চিমা দেশের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে এ ব্যাপারে আমেরিকা ও ব্রিটেনকে কয়েক ধাপ সামনে রাখেন ভুক্তভোগীরা। আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম চিত্রও ধরা পড়ে। পশ্চিমা দেশের চিকিৎসার ওপর আস্থা হারিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মানুষ সাত সমুদ্র ১৩ নদী পেরিয়ে ভারতে পাড়ি জমাচ্ছেন। ক্যান্সারের এখন ঠিক প্রাণঘাতী রোগ বলা যায় না। যদিও এই চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

২০০৯ সালে তার ডিম্বাশয়ে একটি অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকরা কোনও আশাজনক ফল না পয়ে কেমোথেরাপি শুরু করেন। কিন্তু তিনবার কেমো দেওয়ার পরও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি বরং অবনতি হয়েছে। মার্কিন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা চর্তুথবার কেমোথেরাপির পরামর্শ দিলেও মলি রাপুরের স্বামী প্রবীর রাপুর ইন্টারনেটে ক্যান্সার চিকিৎসার নিত্যনতুন পদ্ধতির সন্তান করতে গিয়ে লেকটাউনের অরদীপ চট্রোপাধ্যায়ের ‘সোরিনাম থেরাপির কথা জানতে পারেন।

ইউএস থেকে কলকাতায় উড়ে আসার মতো শারীরিক অবস্থা রোগীর ছিল না। তখন ফোনে যোগাযোগ করলে অরদীপ বাবু কিছু ওষুধ গ্রহণ করার পরামর্শ দেন। কয়েক সপ্তাহ সেই ওষুধ খাওয়ার পর রোগী কলকাতায় এসে পাচ সপ্তাহ ‘সোরিনাম থেরাপি‘ নেন এবং আগের থেকে অনেক বেশি সুস্থ বোধ করেন। মার্কিন নাগরিক মলি রাপুর জানান, এই নতুন ধরনের থেরাপির ফলে শরীরে জ্বালা-যন্ত্রণা, কষ্ট আগের থেকে অনেক কমেছে। আর ডায়গনস্টিক রিপোর্টেও অত্যন্ত আশাপ্রদ ফল দেখা গেছে। আর এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ধাবক অরদীপ চট্রোপাধ্যায় বললেন, ‘‘এই চিকিৎসা পদ্ধতি ক্যন্সার রোগীদের আশার আলো জাগাতে পারবে এবং অনেক কম খরচে রোগীকে থোরাপি দেওয়া যাবে।‘‘

কলকাতার ঠাকুরপুকুর কিংবা নিউটাউনের টাটা মেডিকেল সেন্টারের পাশাপাশি এ ব্যাপারে বিশেষভাবে লেকটাউনের ক্রিটিক্যাল ক্যান্সার ম্যনেজমেনট রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকের নাম উল্লেখ্যযোগ্য। মার্কিন নাগরিক মলি রাপুর (৫৫) পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, তিনি ইউনিয়ন প্যাসিফিক রেল রোডের একজন বাসিন্দা। ২০০৮ সালে তার ওভারিয়ান ক্যান্সার ধরা পড়ে। আমেরিকার বিখ্যাত ক্যান্সার হসপিটাল এমডি আন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারে তার চিকিৎসা হয় একটানা পাচ বছর।

 

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025