শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস এবং তার কেবিনেট ২০১৬/১৭ সালের অর্থ বছরের জন্য কাউন্সিলের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অব্যাহত ব্যয় সংকোচন, স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সার্ভিসের চাহিদা বৃদ্ধি এবং চ্যালেঞ্জিং সময়কে সামনে রেখে আগের প্রশাসনের সঠিক পরিকল্পনার অভাবকে বিবেচনায় নিয়ে এই প্রস্তাব পেশ করতে হচ্ছে বলে টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধান প্রধান সার্ভিসগুলোকে অব্যাহত রাখার অঙ্গিকার এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারনে আগামী ৪ বছরে কাউন্সিলকে ৫৯ মিলিয়ন পাউন্ড বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা করতে হবে। এর মধ্যে ২০১৬/১৭ সালে সঞ্চয় করতে হবে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড। আর এজন্য প্রধান প্রধান সার্ভিসকে রক্ষার জন্য রাজধানী লন্ডনের অন্যান বারার মতো টাওয়ার হ্যামলেটসও কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট হেরফেরের মানে হচ্ছে, যে গ্র্যান্টের কারনে এতোদিন কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধি স্থগিত ছিলো তা বাতিল হয়ে গেছে। এছাড়া চ্যান্সেলার জর্জ অসবর্ন এডাল্ট কেয়ার খাতে বাজেট সংকোচন করে কাউন্সিলকে তাদের বাজেট থেকে এই অর্থের জোগানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব কারনে মেয়র ৩.৯৯% কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেটটি আগামী ১৮ জানুয়ারী কাউন্সিলের ওভারভিউ এন্ড স্ক্রটিনি কমিটিতে যাচাই বাচাই এবং ফেব্রুয়ারীতে ফুল কাউন্সিল মিটিংয়ে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
তরুনদের শিক্ষাখাতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ১৬ বছরের উর্দ্ধের এবং উচ্চচ শিক্ষা খাতে আগ্রহীদের বিশেষ সহযোগিতা দেয়া হবে। মেয়র জন বিগস তার বাজেট প্রস্তাবনা সম্পর্কে বলেন, কেউই চায় না কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধি পাক। কিন্তু আগামী ৪ বছর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদেরকে ৫৯ মিলিয়ন পাউন্ড বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার খাতে অব্যাহত ব্যয় সংকোচনের কারনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং দূরদর্শী বাজেট প্রণয়নের জন্য, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে দরিদ্রদের বেশী সহযোগিতা করা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এসব বিষয় নিয়ে বারার বাসিন্দাদের সাথে ইতিমধ্যে পরামর্শও করা হয়েছে। পরামর্শের ভিত্তিতেই প্রত্যেক রবিবার আইডিয়া স্টোরগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রস্তাব বাতিল করা হয়। এছাড়া বয়স্কদের ডে সার্ভিস থেকে অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়টিও স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি দরিদ্রদের জন্য কাউন্সিল ট্যাক্স বেনিফিটও অব্যাহত থাকবে।
যদিও সরকারের বাজেট সংকোচনের কারনে ভবিষ্যতে সকল রেন্ট টপ আপ করা কাউন্সিলের জন্য কঠিন হয়ে দাড়াবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বর্তমান প্রশাসনের সতর্ক এবং সুব্যবস্থাপনার কারনে আরো কিছু প্রধান প্রধান সার্ভিসে ফান্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্চেছ। বিশেষ করে রাস্তা ঘাট পরিষ্কার পরিচ্চছন্নতা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ খাতে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।