শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাম্যমের কর্মীদের সাথে খোলামেলা কথা বলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র জন বিগস। এসময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।
নির্বাচিত হওয়ার সাত মাসের মাথায় কাউন্সিলের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরতে স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নির্বাহী মেয়র জন বিগস। তবে সম্প্রতি কাউন্সিলের কমিউনিকেশন বিভাগের ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিভিওতে বাংলাদেশী তথা এথনিক মিডিয়ার কোন উপস্থিতি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। প্রশ্নবানে র্জজরিত হন মেয়র জন বিগস।
মেয়র বিগস বলেন, সরকারের সীমাহীন ফান্ডিং কাটের প্রভাব পড়ছে লোকাল অথরিরিটিতে। বিভিন্ন সার্ভিস ডেলিভারীতে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। তবে হাউজিং, কর্মসংস্থান এবং এন্টি সোস্যাল বিহেভিয়ার রোধসহ জনগনের জীবন মানোন্নোয়নে কাজ করছে বর্তমান নেতৃত্ব। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বারার জনগনের জীবন মান উন্নয়ন নিয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন মেয়র বিগস।
গত অক্টোবরে হয়ে যাওয়া এই রিভিউয়ে বাংলাদেশী এথনিক মিডিয়ার কোন প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। সাপ্তাহিক জনমতের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা কাউন্সিলের এধরনের আচরনের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং মেয়রের কৈফিত দাবী করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন মেয়র।
বৃটেনে টাওয়ার হ্যামলেটসই একমাত্র বরা যেখানে বাংলা মিডিয়ার শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। একাধিক মিডিয়া হাউস পরিচালিত হয় টাওয়ার হ্যামলেটস থেকে। তাই বাংলামিডিয়াকে শুধু এথনিক মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা না করে বরং লোকাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনায় আনার দাবী জানান চ্যানেল এস‘র এমডি তাজ চৌধুরী।