শীর্ষবিন্দু নিউজ: গত সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার মোজাম্মেল হক।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের ৩৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক গ্রামীণ টেলিকম, যে প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ ব্যাংক পরিবারের সদস্য। গ্রামীণ ব্যাংক পর্ষদের ১২ পরিচালকের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে সরকার নিয়োগ দেয়। আর বাকি ৯ জন পরিচালক আসেন গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ঋণগ্রহীতাদের মধ্য থেকে। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ১৯৮২ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও বিশেষ প্রকল্প শাখার পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মোজাম্মেল হক। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গবেষক মোজাম্মেল ফরাসি উন্নয়ন ব্যাংক এবং শ্রীলঙ্কা ও নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ক্ষদ্রঋণ পরামর্শক হিসাবেও কাজ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের কাছে বলেন, উনি স্বাস্থ্যগত কারণে পাঁচ-ছয় মাস আগে থেকেই দায়িত্ব ছাড়তে চাচ্ছিলেন। গত সোমবার আমার সঙ্গে যখন মিট করতে এসেছিলেন, তখন রেজিগনেশন লেটার দিয়ে গেছেন। এখনও ওই পদত্যগপত্র গ্রহণ করা হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তবে যেহেতু উনি অসুস্থ, দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না, সেহেতু হয়তো তা গ্রহণ করতে হবে। দায়িত্ব পালনে মোজাম্মেল হকের অপারগতার কারণে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদের জন্য নতুন লোকের সন্ধান করা হলেও এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি বলে জানান মুহিত।
গত সমোবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরও তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণফোনের মুনাফার অংশ হিসেবে গ্রামীণ টেলিকমে আসা হাজার কোটি টাকার হদিস এখনো ‘পাননি’ গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসকে অব্যাহতি দেয়ার পর ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ৈ মুখ খুলে আলোচিত হন মোজাম্মেল হক। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে গ্রামীণ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা খোন্দকার মোজাম্মেল হককে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেয় সরকার।
Leave a Reply