শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: কিশোর ফুটবলারদের ওপর যৌন নিপীড়ন নিয়ে ইংল্যান্ডে এখন তোলপাড়।
একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃদ্ধ বয়সে এসে অনেকে সুযোগ পেয়ে সবকিছু প্রকাশ করে দিচ্ছেন। ৭০ এবং ৮০’র দশকের খেলোয়াড়রা কৈশরে কোচ ও কর্মকর্তাদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হন বলে প্রকাশ করছেন।
তবে বর্তমানের ঘটনা এখনও প্রকাশ হওয়া শুরু করেনি। গত ১০ দিনের মধ্যে ইংল্যান্ডের সাবেক সাড়ে তিন শত খেলোয়াড় পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। তারা প্রত্যেকেই কৈশরে কোনো না কোভাবে কোচ কিংবা কর্মকর্তাদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
আর একটি হটলাইনে নির্যাতিত খেলোয়াড়দের অভিযোগের কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেখানে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ৮৬০ জন অভিযোগ করেছেন। এদের অধিকাংশ পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেননি। যৌন নিপীড়নের এমন ঘটনা প্রকাশের মধ্যে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস করলেন চেলসির সাবেক এক খেলোয়াড়।
গ্যারি জনসন নামের ফরোয়ার্ড ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত খেলেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে। ১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি চেলসির যুব দলে খেলতেন। তখন চেলসির স্কাউট প্রধান এডলি হেলথের দ্বারা টানা তিন বছর যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে চার দশকের বেশি চুপ ছিলেন।
কিন্তু ৫৬ বছর বয়সে গত বছর চেলসি কর্তৃপক্ষকে তিনি বিষয়টি জানান। ক্লাবটির কাছে তিনি ক্ষতিপূরণ চান। বিষয়টি সবার সামনে প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দেন তিনি। এতে চেলসি পড়ে মহাসমস্যায়। বিষয়টি গোপন করে রাখার শর্তে তারা গ্যারি জসনককে ৫০,০০০ পাউন্ড দেয়। তাকে এই অর্থ দেয়ার পর এতদিন চ্পু-ই ছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি একের পর এক সাবেক খেলোয়াড়রা কৈশরে নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে দিচ্ছেন। এতে বৃটিশ দ্য টেলিগ্রাফ ঘটনার আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে কয়েকদিন আগে তারা জনসনকে চেলসির অর্থ দেয়ার বিষয়টি ফাঁস করে দেয়। এরপর আর চুপ থাকেননি জনসন। ৫৭ বছর বয়সে এতে মুখ খুললেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি খুবই লজ্জাবোধ করছি। আমার কৈশর ধ্বংস করে দিয়েছিল। আমি কৈশর কাটাই দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে। বিশ্বজুড়ে চেলসির কোটি কোটি সমর্থক।
বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাব তারা। তারা কিভাবে চলছে তা সমর্থকদের জানা দরকার। আমার মতো অনেককে হয়তো অর্থ দিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে। কেউ-ই ন্যয়বিচার থেকে পালাতে পারে না। ফুটবলের মঙ্গলের জন্য আমি পূর্ণ স্বচ্ছতা চাই।’