শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: যৌন অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে বৃটিশ পুলিশের কয়েক শত কর্মকর্তা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষকে যৌন লালসার শিকারে পরিণত করেছে তারা। তাদের এমন লালসার শিকারে পরিণত হয়েছে অপরাধের শিকার বিপন্নরাও।
এক রিপোর্টে এ বিষয়টি উন্মুক্ত হয়েছে। ফলে বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুতর দুর্নীতি হিসেবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এসব পুলিশ কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যামবার রাড গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ পরিস্থিতিতে।
তিনি বলেছেন, এ জাতীয় অপরাধে দায়ী ব্যক্তিদের কোনো জায়গা হবে না পুলিশে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ। এতে বলা হয়েছে, মার্চের শেষ নাগাদ দু’বছরে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে কর্তৃপক্ষ পুলিশের এমন যৌন নির্যাতনের মোট ৪৩৬টি অভিযোগ পেয়েছে।
এতে জড়িত ৩৩৪ পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে ৩০৬ জন কর্মকর্তা। ২০ জন পিসিএসও। আটজন পুলিশ স্টাফ। পরিস্থিতিতে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে এ সমস্যা দূর করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইন্সপেক্টরেট অব কনস্ট্যাবুলারি।
ইন্সপেক্টর মাইক কানিংহ্যাম বলেছেন, আমাদের কাছে যে পরিমাণ ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে সমস্যা তার চেয়েও গুরুত্বর হতে পারে। এটা দুর্নীতির সবচেয়ে গুরুত্বর অবস্থা। যারা রক্ষক হবে তারাই ভক্ষক হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। এর চেয়ে খারাপ কাজ আর কি হতে পারে। জনআস্থা লঙ্ঘনের এর চেয়ে বড় কোনো ঘটনা থাকতে পারে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড বলেছেন, যৌন সুবিধা আদায় করতে পুলিশ কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। এটা একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। এ ঘটনা হতাশাজনক। এতে ন্যায়বিচারকে খর্ব করা হয়।
স্কাই নিউজের রিপোর্টে বলা হয়, যেসব সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মাদক বা এলকোহন সংক্রান্ত সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা এমন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে মনে করা হয়েছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমস্যার গুরুত্ব স্বীকার করছে পুলিশ। কিন্তু কেউ কেউ এটাকে গুরুত্বর দুর্নীতি হিসেবে স্বীকার করতে চাইছে না। অভিযোগের শতকরা ৪৮ ভাগ পাঠানো হয়েছিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশনে।