শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র পরিকল্পনাকে সমর্থন দিলেন বৃটিশ এমপিরা।
তেরেসা মে আগামী বছর মার্চ মাস শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সক্রিয় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তার এ প্রতিশ্রুতির প্রতি এমপিরা ওই সম্মতি প্রকাশ করেন।
বুধবার বৃটিশ পার্লামেন্টে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ৫০ নিয়ে ভোট হয়। তাতে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হন তেরেসা মে।
বিরোধী লেবার দল ও নিজের ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের বিদ্রোহী হয়ে ওঠা এমপিদের প্রচ- চাপে পড়েছিলেন তিনি। তারা ব্রেক্সিট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা, কর্মকা- প্রকাশ করার জন্য পার্লামেন্টে প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করেন।
কিন্তু তা ঘটার আগেই তেরেসা তাদের প্রস্তাব মেনে নেন। এর প্রতিদানে বিদ্রোহী এমপিরা ও বিরোধী লেবার দলের এমপিরাও তাকে অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করার সময়সীমার বিষয়ে সম্মতি দেন। বুধবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোট বাধ্যতামুলক ছিল না।
তবু এ ভোটে ৪৪৮ জন তেরেসা মে’কে সমর্থন করেন। বিপক্ষে ভোট দেন মাত্র ৭৫ জন। ফলে তেরেসা মে বেশ বলিয়ান হয়ে উঠেছেন এমন সমর্থন পেয়ে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, তেরেসা মে বিদ্রোহী ও বিরোধী লেবার দলের প্রতি মাথা নত করেছেন। ব্রেক্সিট পরিকল্পনা প্রকাশ করতে রাজি হয়েছেন। এ ভোটে তার মূল্যায়ন করেছেন বিরোধীরা। বুধবারের ভোটে দুটি করে ভোট ছিল এমপিদের।
একটি ভোটে বলা হয়েছিল, লেবার দল যে প্রস্তাব আনবে তাতে সরকারের সংশোধনী থাকবে। এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ৪৬১ জন এমপি। বিরুদ্ধে ভোট দেন ৮৯ জন।
তবে বিরোধিতাকারীদের মধ্যে ২৩ জন লেবার দলের এমপি। একজন কনজার্ভেটিভ দলের। সরকারের এ সংশোধনী প্রস্তাব সমর্থন করেন লেবার দলের ১৫০ জন এমপি। ব্রেক্সিটের বিষয়ে তীব্র প্রচারণা চালিয়েছিলেন ডানকান স্মিথ।
তিনি বলেছেন, লেবার দল যে প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নিয়েছে তাতে পার্লামেন্টে সৃষ্টি হয়েছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রথম দফা ভোটের পর তিনি বলেছেন, এটাই প্রথমবার পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।