শীর্ষবিন্দু নিউজ: এমব্রয়ডারির কাজ শিখছে ঐশী রহমান। গাজীপুরের কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে তাকে পছন্দের এ কাজ দেয়া হয়েছে। পুলিশের (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের হত্যা দায় দায় স্বীকার করে গতকাল আদালয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ঐশী। এরপরই তাকে ওই সংশোধণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। শনিবার রাতে ঐশী ও তাদের কাজের মেয়ে সুমীকে আনা হয় ওই কেন্দ্রে।
এরই মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। রোববার সকালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেগম নাসিমা ও গাজীপুরের উপ-পরিচালক লুৎফুন্নেছা কোনাবাড়ির ওই কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান। কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ঐশীকে ডেকে আনেন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক এর কার্যালয়ে। কর্মকর্তাদের সাথে কথা-বার্তার এক পর্যায়ে ঘটনার জন্য অনুতপ্ত বলে জানায় ঐশী।
উপ-পরিচালক লুৎফুন্নেছা জানান, ঐশীর পছন্দ অনুযায়ী এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ এর কাজ দেয়া হয়েছে। কোনাবাড়ী কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক শংকর চরণ সাহা জানান, শনিবার দিবাগত রাত নয়টায় পুলিশ প্রহরায় ঐশীকে আনা হয়েছে এ কেন্দ্রে । ঐশীকে কেন্দ্রের তৃতীয় তলায় এবং তাদের কাজের মেয়ে সুমীকে চতুর্থ তলার কক্ষে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রে আনার পর ঐশীকে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা গেছে। গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত এই কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে বর্তমানে কিশোরী রয়েছে ১১০ জন। যার ধারণক্ষমতা ১৫০ জন। সংশোধন কেন্দ্রটিতে নিবাসী কিশোরীদের মানসিক পরিবর্তনে কাউন্সিলিং করানো হয়।
এ ছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষা, সেলাই, বুটিক, রান্না ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। বিচারকালীন অবস্থায় সাধারণ কারাগারে প্রাপ্ত বয়স্ক অপরাধীদের থেকে আলাদা স্থানে রেখে সংশোধন মূলক এই প্রতিষ্ঠানে রাখা হয় কিশোরীদের। টঙ্গীতে এমনি ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে কিশোরদের জন্যে।
Leave a Reply