রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৮

দীর্ঘ ৭ বছর পর খুলছে ঢাকা-ইয়াংগুন আকাশপথ

দীর্ঘ ৭ বছর পর খুলছে ঢাকা-ইয়াংগুন আকাশপথ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শীর্ষবিন্দু নিউজ: দীর্ঘ প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা-ইয়াংগুন ফ্লাইট পরিচালনার জন্য চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সপ্তাহে ৭টি করে মোট ১৪টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। দুই দেশের যে কোনো বিমান পরিবহন সংস্থা এই ফ্লাইটসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেন এবং মিয়ানমারের ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল এভিয়েশনের ডেপুটি ডিরেক্টর উইন সু তান বৃহস্পতিবার ঢাকায় এ চুক্তিতে সই করেন।

বিমান সূত্রে জানা যায়, তারা এ বিষয়ে বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে আসছিলেন। সব কিছু ঠিক খাকলে আগামী নভেম্বর থেকে ফ্লাইট শুরু করা যাবে জানানো হয়।এজন্য তারা মিয়ানমার রুটে চালানোর জন্য বিমান কয়েকটি টার্বো ট্রুপ (ছোট আকারের) জাতীয় উড়োজাহাজ ভাড়া আনার চেষ্টা করছে। এ ধরনের উড়োজাহাজের জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম হওয়ায় স্বল্প পাল্লার রুটগুলোর জন্য লাভজনক হয় বলে জানায় বিমান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিমান পরিবহনমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ তিনভাবে লাভবান হবে। প্রথমত ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি থাকছে সাতটি, দ্বিতীয়ত সরকারি বা বেসরকারি বিমান সংস্থা ফ্লাইট চালাতে পারবে। আর তৃতীয়ত যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি আমরা পণ্যও পরিবহন করতে পারব। মন্ত্রী জানান, ঢাকার পাশাপাশি চট্রগ্রাম থেকেও ইয়াংগুন ফ্লাইট চালানোর বিষয়ে চেষ্টা করছে বেবিচক। এটা হলে বাংলাদেশর পণ্য খুব সহজে মিয়ানমারে যাবে। ব্যাবসায়িক দিক দিয়েও এটা আমাদের জন্য লাভজনক হবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পরে বেবিচক চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ রুটটি চালু হলে আমাদের দেশীয় বিমান সংস্থাগুলো বিভিন্নভাবে লাভজনক হবে। ব্যাংকক বা কুয়ালালামপুরে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ইয়াংগুনকে তারা একটি ট্রানজিট হিসাবে ব্যাবহার করার সুযোগ পাবে। ইয়াংগুন থেকে যাত্রী পরিবহনও করতে পারবে। তিনি জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ইতোমধ্যে এই রুটে ফ্লাইট চালুর আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৯৭৭ সালে এই রুটে প্রথম যাত্রী পরিবহন শুরু করে। এরপর ২০০৬ সালে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। মিয়ানমার তাদের কিছু চাহিদার কথা আমাদের বিমান সংস্থাগুলোকে জানিয়েছে। এগুলো পূরণ হয়ে গেলেই ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমার-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের প্রধান উইন সু তান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশে এখন প্রায় আটটি বিমান পরিবহন সংস্থার মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালাচ্ছে। তাদেরও রুট এক্সপানশনের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025