সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪১

ভারত-চীনের অচলাবস্থায় ভুটানে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা

ভারত-চীনের অচলাবস্থায় ভুটানে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা

স্টিভেন লি মায়ার: চীনের বিতর্কিত সীমান্ত থেকে মাত্র ১৩ মাইল দূরত্বে ভুটানের হা এলাকা। এখানেই ভারতের প্রধান গ্যারিসন। এখানে রয়েছে প্রশিক্ষণ একাডেমি, একটি সামরিক হাসপাতাল, একটি গলফ কোর্স- এসবই হিমালয়ের পাদদেশে ছোট্ট এই দেশটিকে সুরক্ষা দেয়ার ভারতীয় উদ্যোগ।

এবার গ্রীষ্মে, বিরোধপূর্ণ সীমান্তে একটি সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে চীন। জবাবে ভারত সেখানে সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠায় ওই কাজ বন্ধ করে দিতে। চীনের এই কাজকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তা স্থায়ী হয়েছে প্রায় দু’মাস।

ভারতীয় সেনারা রয়েছে চীনা সেনাদের মুখোমুখি। তারা মাত্র দু-এক শত গজ দূরত্বে অবস্থান করছে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যখন যুদ্ধের হুমকি-পাল্টা হুমকি চলছে তখন বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দুটি দেশ চীন ও ভারতের মধ্যে ওই বিতর্কিত সীমান্তকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত বাড়ছে যুদ্ধং দেহী মনোভাব। এমন মনোভাব তারা একে অন্যের সঙ্গে বিনিময় করছে।

এটা ১৯৬২ সালে তাদের মধ্যকার রক্তক্ষীয় যুদ্ধের স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যেমনটি কিউবার মিসাইল সংকটের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি পড়েছিল। ভয়ের কথা হলো, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও জাতীয়তাবাদ তাদেরকে আবারো যুদ্ধে লিপ্ত করতে পারে। এখন তাদের কাছে রয়েছে অধিক আগ্নেয়াস্ত্র। এই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিপক্ষ নিজেদেরকে ভুটানকে কেন্দ্র করে যেন আঞ্চলিক প্রাধান্য বিস্তার করতে চাইছে।

পাহাড়ি দেশ ভুটানের জনসংখ্যা ৮ লাখ। এর রয়েছে সুনাম। আছে সাবেক একজন রাজা, যিনি দেশের ভালোর জন্য জনপ্রিয় করেছিলেন একটি ধারণা। এই ধারণা বা কনসেপ্টকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘গ্রোস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’। যার অর্থ হলো সার্বিক জাতীয় সন্তুষ্টি।

ভারত বলছে, এই অচলাবস্থায় তারা ভুটানের পক্ষে কাজ করছে। কিন্তু তাদের এই হস্তক্ষেপকে এখানে খুব বেশি কৃতজ্ঞতার চোখে দেখা হয় না। উল্টো ভুটানের অনেক মানুষ মনে করছেন, ভারত যে সুরক্ষা দিচ্ছে তা পরিণত হয়েছে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে। ভুটান জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা পেমা জিমতশো বলেছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে যদি যুদ্ধ হয় তাহলে স্যান্ডউইচের ভিতর মাংসের যে অবস্থা হয় আমরা তাই হয়ে যাবো। ভারত ও চীনের সঙ্গে নিজের দেশের সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বেছে নেয়ার মতো কোনো পছন্দ থাকতে পারে না। তবে এই মুহূর্তে তা করা যায়।

কয়েক যুগ ধরে ভারতকে বেছে নিয়েছে ভুটান। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় আগে উদ্বেগের সঙ্গে ভুটান দেখে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে। তারা প্রতিবেশী তিব্বত দখল করে নিচ্ছে। এ স্থানটির সঙ্গে চীনের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক আছে। ভুটানকে প্রতিরক্ষা দেয়ার প্রস্তাব করেছে ভারত। তারা সেটা গ্রহণ করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ওই অচলাবস্থা দেশের ভিতরে ভারতের প্রভাবের বিষয়ে একরকম নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষ করে, অনেকেই সন্দেহ করছেন যে, বেইজিংয়ের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ভুটানের প্রচেষ্টাকে আটকে দিতে চাইছে ভারত। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এমন মনোভাবের কারণে ভুটান যে কৌশলগত বাফার সুবিধা দেয় তা প্রত্যাহার করে নেয়া হতে পারে। সাবেক প্রকাশক ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান ওয়াংচা সাঙ্গে।

ভুটানে ভারতের হস্তক্ষেপের তীব্র সমালোচকও তিনি। তিনি বলেছেন, নিজের সার্বভৌমত্বের সব রকম অধিকার ভুটানের আছে। এটাই অনেক জটিল একটি বিষয়। আমরা যেভাবে বাঁচতে চাই আমাদের সেভাবে বাঁচার অধিকার আছে। আমরা যাদের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, তাদের সঙ্গে আমাদের সেই সম্পর্ক গড়ে তোলার অধিকার আছে।

বাস্তব ক্ষেত্রে ভুটান ও চীনের মধ্যে ৩৪ বর্গমাইল ভূখণ্ডকে নিয়ে বিরোধ। এ ভূখণ্ড ভুটান ও চীন দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে। ভারতের অভিযোগ, ওই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতেই চীন সড়ক নির্মাণের চেষ্টা করছিল। অনেকে বেইজিংয়ের এই উদ্যোগকে দক্ষিণ চীন সাগরে শৈলশ্রেণিকে দ্বীপে পরিণত করার মাধ্যমে তা নিজেদের বলে দাবি করার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে তুলনা করছেন। বিরোধপূর্ণ ওই ভূখণ্ড কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ, এর ঢালের এক পাশ প্রসারিত হয়েছে ভারতীয় উপত্যকার দিকে, যেটা মধ্য ভারতকে তার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অবরুদ্ধ রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ভারত এটাকে বলে ‘চিকেন নেক’ বা সরু পথ। তাই ভারতের দীর্ঘদিনের আশঙ্কা, যুদ্ধের মাধ্যমে এই ভূখণ্ড কেড়ে নিতে পারে চীন।

ওই ভূখণ্ড ভারতের সীমানার বাইরে চলে যেতে পারে। গত ১৬ই জুন ওই সীমান্তে সেনাদের মোতায়েনের নির্দেশ দেয় ভারত। এ সময় কিন্তু দৃশ্যত, ভুটানের পক্ষ থেকে এমন কোনো অনুরোধ করা হয় নি ভারতের কাছে। ভুটান একদিকে চীনের সড়ক নির্মাণ কাজের নিন্দা জানিয়েছে।

অন্যদিকে ভারতীয় হস্তক্ষেপের জন্য তারা আহ্বান জানিয়েছিল কিনা তা দৃঢ়তার সঙ্গে এড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সরকারও এ প্রশ্নকে এড়িয়ে গেছে। চীন কড়া কড়া কথা বলছে। প্রায় দিনই ভারতকে সতর্ক করছে। গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়োজিত ফ্লিটের উপ-কমান্ডার কমোডর লিউ তাং সতর্ক করেছেন।

তিনি পিপলস লিবারেশ আর্মি ডেইলিকে বলেছেন, চীনের সংযত থাকার বিষয়টি অসীম এমন নয়। খবরের শিরোনামে বলা হয়, চীনের ভূখণ্ড বিশাল। এক ইঞ্চি জায়গাও পরিত্যাজ্য নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত অধিক সংখ্যক সেনাকে এলার্ট রেখেছে। এতে বোঝা যায় তারা পিছু হটতে প্রস্তুত নয়।

ভুটানের হা হলো একটি ছোট্ট গ্রাম। এখানে সেনারা টহল দেয়। এই গ্রামে এই বিরোধের বিষয়টি দূর আকাশের বজ্রপাতের মতো। এটাকে একটি ঝড়ের পূর্বাভাসের মতো দেখেন গ্রামবাসী। তবে ওই ঝড় হয়তো আসবে না। তাই এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এখানে যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তার সঙ্গে ভুটানের কোনো বাহিনী জড়িত নয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, এমনকি নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যমগুলো সরকারের অগ্রগতির কথা প্রচার করে।

এই অচলাবস্থা বা সংকট এসব মাধ্যমে একেবারেই নেই। হা’র একজন বাসিন্দা বলেছেন, তার একজন আত্মীয় যখন সীমান্তে গরু রাখছিলেন তখন চীনা সেনাদের জন্য পরিখা খননে সহায়তা করেন তিনি। তারপর থেকেই কর্তৃপক্ষ বিরোধপূর্ণ ওই এলাকায় যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

এর ফলে চীনের অধীনে থাকা তিব্বতের শহরগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। বহু বছর ধরে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ার পিঠে চড়ে ওইসব শহরে যেতেন আবার ফিরে আসতেন তাদের উৎপাদিত ‘কর্ডিসেপস’ ও ভুটানের ওষধি গুল্মগুলো বিক্রি করে।

স্থানীয়ভাবে এই কর্ডিসেপস ‘হিমালয়ের ভায়াগ্রা’ হিসেবে পরিচিত। ফেরার সময় ওইসব ব্যবসায়ী নিয়ে আসতেন ইলেক্ট্রনিক পণ্য, কার্পেট, সিল্ক ও কাপড়চোপড়। যে দেশে মাথাপিছু অর্থনৈতিক উপার্জন গত বছর ২৭৫১ ডলারে পৌঁছে সেখানে সীমান্ত এলাকায় বাণিজ্য হয়ে উঠেছে জীবনজীবিকা বা বেঁচে থাকার অবলম্বন। হা এলাকার একজন দোকানি নিমা দর্জি।

তিনি বলেন, সীমান্তের রুট বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে তিনি কোনো শিপমেন্ট পান নি। এটা আবার চালু হবে কিনা তা নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে আমরা বেশি কথা বলি না।

কারণ, এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি ইস্যু। তবে ভুটানের সরকারি কর্মকর্তারা ভারত ও চীনের মধ্যে এই মুখোমুখি অবস্থায় থাকা পরিস্থিতিতে নীরবতা অবলম্বন করছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্বীকৃতি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগেও কোনো মন্তব্য করেন নি। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দামচো দর্জি বলেছেন, তিনি আশা করেন এ সমস্যা শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে।

তবে ভুটানের অনেকের সাক্ষাৎকার নেয়া হলে তারা চীনের চেয়ে ভারতের কর্মকাণ্ডে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, ভারতের উদ্যোগের কারণে চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে সমঝোতার সুযোগকে খর্ব হয়েছে। এমন সমঝোতা হলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হতে পারতো। বিরোধপূর্ণ এ রকম চারটি সীমান্ত আছে। উত্তরে দুটি। পশ্চিমে দুটি। এর মধ্যে রয়েছে অচলাবস্থা সৃষ্টির স্থানটি।

১৯৯৮ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি এলাকার বদলে ভুটানের উত্তরাঞ্চলে একটি এলাকা নেয়ার প্রস্তাব দেয় চীন। নীতিগতভাবে এতে সম্মতি জানিয়েছিল ভুটান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি পূর্ণতা পায় নি। গত বছর বেইজিংয়ে দুই দফা আলোচনা হয়। তাতে দু’পক্ষই দৃশ্যত ঐকমত্যে পৌঁছে। তবে নতুন করে তা শুরু হওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।

১৯৪৯ সালে ভারতের সঙ্গে একটি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করার পর থেকে নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যে প্রায় পুরোপুরিভাবেই ভারতের ওপর নির্ভর করে আসছে ভূটান। এমনকি এখনও ভারত, ‘রয়াল ভুটান আর্মিকে’(নেপালের রয়াল সেনাবাহিনী) প্রশিক্ষণ ও বেতন দিয়ে থাকে। পাশাপাশি ভুটানের পাহাড়ি রাস্তাগুলো নির্মাণ ও মেরামতের কাজ করে থাকে ভারতের সৈন্যরা।

ভুটানে ভারতের সৈন্যসংখ্যা ঠিক কত তা জনসম্মুখে প্রকাশ না করা হলেও, সাধারণত ৩০০ থেকে ৪০০ ভারতীয় সৈন্য সবসময় ভুটানে থাকে। ভূটান যে চীনের অংশ হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা স্মিত হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে সমপর্কের উন্নতি ঘটেছে।

এদিকে ২০০৬ সালে দেশটিতে গণতান্ত্রিক ধারার প্রবর্তন ঘটিয়ে ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিঙ্গিয়ে ওয়াংচুক সিংহাসন ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে এই ধারা অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ ও ২০১৩ সালের গণপরিষদ নির্বাচন। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর দেশটিকে আরো উন্মুক্ত করা হবে কি না এমন বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

কারণ, ভুটানে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। আর তাছাড়া, কয়েক দশক ধরে ভারতের দিকে ঝুঁকে থাকার পর এখন ধীরে ধীরে চীনের সঙ্গেও আচরণে পরিবর্তন আনা শুরু করেছে ভুটান। ২০১২ সালে রিয়ো দে জানেইরোতে অনুষ্ঠিত জি-২০ বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এর কিছুদিন পরেই ভুটানে রান্নার তেল ও কেরোসিন পাঠানো বন্ধ করে দেয় ভারত। বিশ্বজুড়ে এ পদক্ষেপটিকে প্রতিশোধ হিসেবেই দেখা হয়েছিল।

এই ঘটনার কিছুদিন পর অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে পরাজিত হয় নেপালের তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল। চীনের সঙ্গে সমপর্ক ভালো করার একটি উদ্দেশ্য ছিলো অর্থ। বাণিজ্যের পাশাপাশি রয়েছে পর্যটন, যা চীনের সবচেয়ে বড় শিল্প। ভুটানে যাওয়ার জন্যে ভিসার প্রয়োজন হয় না ভারতীয়দের। কিন্তু চীনারা ভুটানে যেতে চাইলে অবকাশ যাপনের প্যাকেজের অংশ হিসেবে দিন প্রতি অগ্রীম ২৫০ ডলার পরিশোধ করতে হয়।

কিন্তু তবুও গত বছর ভুটানে ভারতীয়দের পরে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি ছিল চীনা পর্যটকদের আনাগোনা। ভুটানের প্রতি চীনাদের এই আকর্ষণ জন্মানোর পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে হংকংয়ের প্রভাবশালী চলচ্চিত্র অভিনেত্রা টনি লিয়ুঙ্গের বিয়ে। তিনি ২০০৮ সালে চীনা অভিনেত্রী ক্যারিনা লাও-কে ভুটানে বিয়ে করেন। এর তিন বছর পরে ভুটানে বর্তমান রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের বিয়ের ভিডিও চীনে ছড়িয়ে পড়লে সেই আকর্ষণ আরো বেড়ে যায়।

পেমা তাশি, ভ্রমণ সংস্থা হ্যাপিনেস কিংডম ট্রাভেল পরিচালনা করেন। তার সংস্থার স্লোগান হচ্ছে, জান্নাতের একটি জান্নাতের বাসস্থান (আ সজর্ন ইন প্যারাডাইজ)। তার আটজন মান্ডারিন ভাষী ‘গাইড’ রয়েছেন যারা চীনা ভ্রমণকারীদের দেখাশোনা করে থাকেন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, চীন থেকে ভুটানে আসার সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। তার সন্দেহ, হয়তো এর পেছনে ভারতের হাত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বড় ভাইয়ের ইচ্ছামতন চলার চেষ্টা করি।’ এখানে বড় ভাই বলতে তিনি ভারতকে বুঝিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু তাদের ধারণা, আমরা যদি উত্তরের (চীনের) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে যাই তাহলে আমরা তাদের ওপরে আর নির্ভরশীল থাকব না।’




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025