শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিভিন্ন পুলিশ পোস্টে চালানো বিদ্রোহী হামলায় ১১ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, ভোরের আগ দিয়ে রাখাইনের ২০ টি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় মুসলিম বিদ্রোহীরা। এক বিবৃতিতে সরকার বলেছে, চরমপন্থী বাঙালি বিদ্রোহীরা মওংদাও অঞ্চলে অবস্থিত এক পুলিশ স্টেশনে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালায়। এছাড়া স্থানীয় সময় ১ টার(রাত) দিকে বেশ কয়েকটি পুলিশ পোস্টে সমন্বিতভাবে হামলা চালিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, বিবিসির খবরে বলা হয়েচে, মিয়ানমার সরকার, দেশহীন রোহিঙ্গাদেরকে বর্ণনা করতে বাঙালি শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। কারণ এই শব্দ দিয়ে বোঝানো হয় যে তারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী। রাখাইনে কয়েকমাসের মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস হামলা হিসেবে ধরা হচ্ছে এটিকে। রাখাইনে মুসলিম ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
এদিকে গতকাল রাখাইনের অস্থিরতা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব আনানের নেতৃত্বাধীন এক তদন্ত কমিশন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি রাখাইনে জাতিগত উত্তেজনা না কমানো যায় তাহলে বাড়তেই থাকবে সহিংসতার ঘটনা।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ এক ফেসবুক পোস্টে অং হাইং বলেন, সব মিলিয়ে এক জন সেনা, ১০ জন পুলিশ ও ২১ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। হামলার সঙ্গে অন্তত ১৫০ জন বিদ্রোহী জড়িত ছিলো।
খবরে বলা হয়, রাখাইনে এক লাখেরও বেশী মুসলিম রোহিঙ্গা বাস করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
অপরদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এ নিয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা এসব নির্যাতন থেকে বাচতে পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে।