শীর্ষবিন্দু নিউজ: বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) মোতায়েন করবে না বলে জানিয়েছেন বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী সুভাষ যোশী। বুধবার রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শ্রী সুভাষ যোশী একথা জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল আজিজ এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী সুভাষ যোশীসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই বিএসএফের। গত ৯ সেপ্টেম্বর যে সংবাদ মাধ্যম ওই খবর প্রকাশ করেছিল, তাদের কাছে এরই মধ্যে প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করে শ্রী যোশী বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কোনো দেশের কাম্য নয়। গত কয়েক বছরে সীমান্তে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে তার প্রাথমিক তদন্তকাজ শেষ হয়েছে। কিছু কিছু ঘটনার বিচার প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। এসব বিচারে তিনজনকে সর্বোচ্চ শাস্তি এবং অনেককে চাকরিচ্যূতও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফেলানী হতাকাণ্ড একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অমানবিক ঘটনা। এজন্য অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও শেষ হয়নি। এর রিভিশন ট্রায়াল আবারও শুরু হবে। এ অমানবিক ঘটনায় কোনো সদস্য দোষী সাব্যস্ত হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ভাষাগত বৈষম্য ঘাটতি থাকার কারণে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকে। সীমান্তে যেন আর কোনো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত না হয় এজন্য বিএসএফ ও বিজিবি পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে।
সে লক্ষ্যে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেসবের মধ্যে সীমান্তে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিম্ন থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত যোগাযোগ করা হবে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানো জন্য কাজ করা হবে। মাদক দ্রব্য এবং নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধের জন্য দু’দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীকে জানানো হবে এবং নিজেদের উদ্যোগেও স্থানীয়ভাবে তদন্ত করা হবে। এসময় দু’দেশের সীমান্তে যৌথ টহল বৃদ্ধি এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।