শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বৃটিশ ভিসা প্রদানের বিষয়টি সরাসরি যুক্তরাজ্য থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত ও সিলেটের কৃতী সন্তান রুশনারা আলী।
তিনি বলেছেন- ভিসা প্রদানের বিষয়টিতে তৃতীয় কোনো পক্ষ এখানে কোনভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। রুশনারা আলী বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের রোজভিউ হোটেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃটিশ ভিসা আবেদনের ব্যাপারে সিলেট থেকে যে একেবারেই ভিসা সেন্টার সরিয়ে নেয়া হয়েছে সেটি সঠিক নয়। এখানে একটি অফিস রয়েছে। যেটি ঢাকায়ও নেই। এখান থেকে ভিসা প্রত্যাশীরা সরাসরি আবেদন করতে পারছেন। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
এ সময় উপস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার ডেভিড অ্যাশলে বলেন, স্টুডেন্ট ভিসা বা স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যাপারে যেসব সিদ্ধান্ত দেয়া হচ্ছে সেগুলো সরাসরি বৃটেন থেকে দেয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে সংশয়ে থাকার কোনো অবকাশ নেই।
রুশনারা আলী এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। দেশে এলেই তিনি নিজ এলাকা সিলেটে ছুটে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনি সিলেটে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বললেন। এ সময় মিয়ানমার নিয়েও কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি মানবিক বিপর্যয় রোধে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এজন্য মিয়ানমারের ওপর বিশেষ করে সেখানকার সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিকতর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায় সহমর্মিতা প্রকাশ করছে। মিয়ানমারের এ বিপর্যয়কে তিনি মানুষের তৈরি বিপর্যয় হিসেবে আখ্যা দেন।
রুশনারা আলী আরো বলেন, মিয়ানমারে গণতন্ত্রের উত্তরণ হলেও সেখানে মূলত সেনাবাহিনীর শাসন চলছে। সেখানকার পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ সদস্য সেনাবাহিনীর। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ, জনপ্রশাসন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সেনাবাহিনীর হাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি কি হতে পারে- তা সহজেই অনুমেয়। গেল ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের বিভিন্ন ক্যাম্প সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে রুশনারা আলী বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সেখানকার বিপর্যয় রোধে মিডিয়া কর্মীদের সোচ্চার হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
বৃটিশ হাইকমিশনের প্রেস সেক্রেটারি তৌহিদ ফিরোজের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত ডেপুটি বৃটিশ হাইকমিশনার ডেভিল অ্যাসলে এবং হাইকমিশনের ট্রেড সেকশন প্রধান রোজিনা হাসানও উপস্থিত ছিলেন।