শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: সেবাস্তিয়ান কুজ। তার বয়স মাত্র ৩১ বছর। এ বয়সেই অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। এর মধ্য দিয়ে তিনি শুধু ইউরোপেই সবচেয়ে কম বয়সী রাষ্ট্রপ্রধান হলেন এমন নয়। পাশাপাশি সারা বিশ্বে সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান হতে চলেছেন।
রোববার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে তার দল অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি (ওভিপি) সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রয়েছে। এর এর মধ্য দিয়ে তিনিই হতে চলেছেন অস্ট্রিয়ার পরবর্তী চ্যান্সেলর। এ পদটিকে বলা হয় ফেডারেল চ্যান্সেলর। অস্ট্রিয়ায় এটিই সরকার প্রধানের পদ। অস্ট্রিয়ান ফেডারেল গভর্নমেন্টের চেয়ারম্যান থাকেন তিনি।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রের নির্বাহী শাখায় চ্যান্সেলর থাকেন সুপ্রিম ফেডারেল অথরিটি। এই পদটিরই অধিকারী হতে যাচ্ছেন সেবাস্তিয়ান কুজ নামের এই তরুণ যুবক। বর্তমানে তিনি বসবাস করেন ভিয়েনাতে। ২০১৩ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ওই সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর। আর এর মধ্য দিয়ে তিনিই ইউরোপে সবচেয়ে কম বয়সী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি আইন শাস্ত্রে পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনা’তে। শেষ করেছেন অস্ট্রিয়ায় বাধ্যতামূলক সামরিক বাহিনীতে চাকরি। তিনি রক্ষণশীল একজন এমপি। তবে তিনি তার দলকে ডানপন্থি করে তুলেছেন। অভিবাসন বিরোধী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারণায়।
বলেছিলেন, ইউরোপে অভিবাসী প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দেবেন। এটাকে অনেকে জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় হিসেবে অভিহিত করেছেন। ২০১৫ সালে ইউরোপজুড়ে শরণার্থী ঢল নামার পর অনেক দেশেই অভিবাসন বিরোধী তৎপরতা দেখা যায়। এই অভিবাসন বা শরণার্থী ইস্যুকে কেন্দ্র করে অনেকে রাজনৈতিক বৈতরণী পাড় হয়েছেন বা হওয়ার চেষ্টা করেছেন। রোববারের নির্বাচনে অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান নি সেবাস্তিয়ান কুজ। তাই তাকে জোট সরকার গঠন করতে হবে।
এ জন্য তাকে সোশাল ডেমোক্রেট বা উগ্র ডানপন্থি দলের দ্বারস্থ হতে হবে। সেবাস্তিয়ান কুজ এর আগে ভিয়েনা সিটি কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি নজর দিয়েছেন পেনশন ও আন্তঃপ্রজন্মের মধ্যে সুষ্ঠু যোগাযোগ। সেবাস্তিয়ান বিয়ে করেন নি।
তবে তিনি বর্তমানে চুটিয়ে প্রেম করছেন অস্ট্রিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সুসানে থিয়ের-এর সঙ্গে। সুসানের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়েছিল ১৮ বছর বয়সে। ইউরোপীয়ান কাউন্সিল পর্যায়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের গ্রুপ ইউরোপীয়ান পিপলস পার্টির জয়েন্ট চেয়ার তিনি। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন।