অন্যকিছু ডেস্ক: বয়স তার ৭৩। চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে অনেক আগেই। এই বয়সেই বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন নিউ জার্সির ক্যারোলিন স্লেড হার্ডেন। বিফল হননি। শতাধিক নারীকে পেছনে ফেলে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিশ্ব সুন্দরীর তকমা।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটিতে গত বৃহস্পতিবার হয়ে গেল এক ভিন্নধর্মী সুন্দরী প্রতিযোগিতা। এ সুন্দরী প্রতিযোগিতাটি ছিল নানি-দাদিদের বয়সীদের নিয়ে। রীতিমতো জমকালো পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে নানি-দাদিরা অংশ নেন মিস সিনিয়র আমেরিকা ২০১৭-তে।
গত শুক্রবার রিসোর্টস ক্যাসিনো হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৭৩ বছরের স্লেড হার্ডেনকে সেরার মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছ্বসিত হার্ডেন বলেন, এ বয়স হচ্ছে মার্জিত সৌন্দর্যের। এটি কেবল শুরু, শেষ না।
দুই সন্তানের এ জননী বলেন, সৌন্দর্য প্রদর্শনী বলতে লোকে মনে করে শারীরিক সৌন্দর্য। তবে এটি আসলে ‘ভেতর থেকে আসা সৌন্দর্য’। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন।
সৌন্দর্যের রহস্য সম্পর্কে হার্ডেন বলেন, ৭০ বছর বয়েসেও কি করে সুন্দর থাকা যায় এর কোনো জাদুকরি উত্তর নেই। তিনি বলেন, ‘খোদার কাছে প্রার্থনা করুন আর স্বাস্থ্যকর খাবার খান।’
তিনি আরও বলেন, লোকে বলে, আমি দেখতে সিনড্রেলার মতো। তবে কখনই মনে হয় না, আমি ততটা সুন্দর।
মিস সিনিয়র আমেরিকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন ৬০ থেকে ৯০ বছরের নারীরা। এ প্রতিযোগীদের অনেকেই ক্যান্সার, তালাক ও বৈধব্যের মতো যন্ত্রণার মধ্য দিয়েও গেছেন। প্রতিযোগিতার দিন তারা নানা ধরনের নাচ-গান আর হাঁটাচলার প্রদর্শনী দেখিয়ে প্রমাণ করেন এগুলো করার জন্য বেশি বয়স কোনো ব্যাপার নয়।
তিন দিনব্যাপী চলা এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল আমেরিকায়। গত জুনে সেখানে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর খেতাব জেতেন ২৩ বছরের তরুণী কারা মান্ড।