মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১১

ইউরোপের বহু রাজনীতিক শরণার্থীদের কাছে ভিসা বিক্রির অভিযোগ

ইউরোপের বহু রাজনীতিক শরণার্থীদের কাছে ভিসা বিক্রির অভিযোগ

শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ: শরণার্থীদের কাছে ভিসা বিক্রির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ইউরোপের বহু রাজনীতিক। শুধু তাই নয়, অভিবাসনকে কেন্দ্র করে নানা দুর্নীতি, নারী ও শিশু পাচার এবং চাঁদাবাজির মতো নানা গর্হিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

চলতি সপ্তাহে শরণার্থীদের কাছে ভিসা বিক্রির অভিযোগে বেলজিয়ামের জাতীয়তাবাদী কট্টর ডানপন্থী দল ফ্লেমিশ ন্যাশনাল অ্যালায়ান্সের (এ-ভিএ) স্থানীয় নেতা মেলিকান কুকামকে আটকের পর বিষয়টি ফের সামনে এসেছে।

এন-ভিএ অভিবাসনবিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও মেলিকান শরণার্থীদের কাছে ভিসাপ্রতি ২০ হাজার ইউরো নিতেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদনে্ত উঠে এসেছে। মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

খবরে বলা হয়েছে, এন-ভিএ দল থেকে নির্বাচিত একটি সিটি কাউন্সিলর মেলিকান। বেশ কিছুদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো থেকে যাওয়া শরণার্থীদের কাছে ভিসা বিক্রি করতেন।

সরকারি আইনজীবীরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ হাজার ইউরো নিতেন তিনি। কুকামের বিরুদ্ধে পাচার, দুর্নীতি ও চঁাদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ইউরোপ দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের’ স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। গত ২০-৩০ বছরে হাজার হাজার শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে সেখানে বসবাস করে আসছেন এবং সেখানকার নাগরিকত্বও অর্জন করেছেন। ইউরোপের নাগরিকরা, বিশেষ করে জার্মানি কিংবা স্ক্যান্ডেনেভিয়ান রাষ্ট্রগুলো বরাবরই শরণার্থীদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল ছিল।

মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার কয়েক লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে ‘মাদার অব ইউরোপ’ খ্যাতি পেয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। সম্প্রতি অভিবাসী ও শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থার নিয়েছে ইউরোপের বেশির দেশ। তারকাঁটা দিয়ে ঘিরে দিচ্ছে সীমান্ত। বসাচ্ছে কড়া পাহারা।

ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের নেৌকা ডুবে শত শত মানুষ মারা গেলেও আসে যায় না তাদের। অথচ এদিকে লাখ লাখ ডলারের বিনিময়ে ধনী অভিবাসীদের কাছে বিক্রি করছে ভিসা।

দ্য ডেইলি এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ইইউ দেশগুলোর রাজনীতিকরা অন্যান্য দেশের ধনীদের কাছে উচ্চমূল্যে ভিসা বিক্রি করছে। আন্তর্জাতিক দুর্র্নীতিবিরোধী গোষ্ঠী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধানেও উঠে এসেছে এমন তথ্য।

সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি শেনজেনভুক্ত দেশ মাল্টার নাগরিকত্ব পেয়েছে। এছাড়া অ্যাঙ্গোলার ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্যও সম্প্রদি পতর্ুগালে আবাসন প্রকল্প ক্রয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে।

দ্য গার্ডিয়ানে বলা হয়েছে, ধনী অভিবাসীদের কাছে ভিসা বিক্রি করে প্রতি বছর শত শত কোটি ডলার আয় করছে ব্রিটিশ রাজনীতিকরা। এক্ষেত্রে একজন অভিবাসী থেকে ২৫ লাখ ডলারের বিনিময়ে আবাসিক ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে বলে জানায় দ্য গার্ডিয়ান।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ইইউ’র পরিচালক কার্ল ডোলান সতর্ক করে বলেছে, এই ধরনের ক্রমবর্ধমান অস্বাভাবাকি অপতত্পরতা শেনজেন চুক্তির বিশ্বাসযোগ্যতা ঝুঁকির মুখে ফেলছে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024