রাশিদ রিয়াজ: নতুন করে মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে, তার নেতিবাচক প্রভাব থেকে পার পাবে না বিশ্ব অর্থনীতি। মঙ্গলবার আইএমএফ এধরনের সতর্কতা দিয়ে বলেছে, এই সপ্তাহেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা বলতে ওয়াশিংটনে যাচ্ছে চীনের প্রতিনিধিদল। আইএমএফের কর্ণধার ক্রিস্টিন ল্যাগার্দের মতে, সাম্প্রতিক ‘জল্পনা এবং টুইট’ সেই চুক্তির উপরেও কালো ছায়া ফেলেছে। গত বছর শুল্ক নিয়ে চীন-মার্কিন টানাপড়েন শুরুর সময়েও বাণিজ্য যুদ্ধে কোনও পক্ষই জেতে না বলে সতর্ক করেছিলেন ল্যাগার্দে।
বাণিজ্য যুদ্ধ মেটাতে গত নভেম্বর থেকে এপর্যন্ত ১০ দফা কথা বলছে বেইজিং ও ওয়াশিংটন। গত সপ্তাহে চুক্তি নিয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার পরেই সকলকে অবাক করে রোববার তিনি বলেন, চীনের যে সব পণ্যে এখন ১০% কর বসে, তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২৫%। এ ছাড়া, এখনও যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত ৩২,৫০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যে কোনও শুল্ক বসে না। শীঘ্রই এসব পণ্যের ওপর ২৫% হারে কর বসবে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আগের বৈঠকে কথা দিলেও, সম্প্রতি চীন সেখান থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে এসেছে।
ওদিকে বেইজিং অবশ্য বলেছে, শুল্ক নিয়ে কথা বলতে ৯ ও ১০ মে ওয়াশিংটনে যাবে চীনের প্রতিনিধি দল। অনেকের মতে, মার্কিন হুমকির পরে চীন যদি বৈঠক বাতিল করত, তা হলে সুবিধা পেত যুক্তরাষ্ট্রই। সে ক্ষেত্রে তারা বলত যে, বেইজিংই কথায় রাজি নয়। তবে এই বৈঠকের খবরেও আশঙ্কা যাচ্ছে না। কারণ, ফের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে, তার ফল বিশ্ব অর্থনীতির পক্ষে ভাল হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। বিশেষ করে যখন চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতির গতি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড