শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বাড়ি তিনটির মূল্য ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। টাকায় হিসেব করলে সাড়ে আট শত কোটি টাকার মতো। কিন্তু কিভাবে এত দামি বাড়ি কিনলেন এর মালিক, বাড়ি কিনতে যে টাকা ব্যয় হয়েছে এই অর্থের উৎস কি, এসব বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা নেই।
সেটি তদন্ত করতে বাড়িগুলোকে জব্দ করেছে ব্রিটেনের আদালত। এই তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছেন এমন বিদেশী কর্মকর্তা, যার নাম আদালতে প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে খুবই প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি।
এখন এ নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িগুলো বিক্রি করা যাবে না। ব্রিটেনে এমন একটি কর্তৃপক্ষ কিছুদিন হল কাজ করছে যারা মূলত ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা দেশগুলোর সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে।
এসব বিদেশী ব্রিটেনে বাড়ি কেনাকে একটা কায়দা হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মনে করা হয়। বিদেশীদের নিয়ে এমন তদন্ত ব্রিটেনে এটি দ্বিতীয়।
এর আগে আনএক্সপ্লেইন্ড ওয়েলথ অর্ডারস নামের এই সংস্থাটি কারাগারে থাকা আজারবাইজানের একজন ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী জামিরা হাইয়েভার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিলো যিনি লন্ডনে এক কোটি বিশ লাখ পাউন্ড দামের একটি বাড়িতে থাকতেন।
বার্কশায়ার কাউন্টিতে তিনি একটি গলফ কোর্সেরও মালিক ছিলেন। লন্ডনের বিলাসবহুল দোকান হ্যারডস-এ গত এক দশকে তিনি ১৬ মিলিয়ন পাউন্ডের কেনাকাটা করেছিলেন।
তবে ওই নারী শুধু যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তা নয়, তার সম্পদ জব্দ করার বিরুদ্ধে আদালতে উল্টো লড়াই করছেন।
দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি বলছে, অর্থ পাচারে ব্রিটেনকে ব্যবহার করাকে নিরুৎসাহিত করতে এমন তদন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক রবার্ট ব্যারিংটন বলেছেন, লন্ডন বহুদিন যাবত বিশ্বের দুর্নীতিপরায়ণ আমলাদের খেলার মাঠ হয়ে উঠেছে। সেটি যে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে তা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।
তিনি আরো বলছেন, দুই বছর আগে আমরা চিহ্নিত করেছি যে যে যুক্তরাজ্যে প্রায় সাড়ে চার শ’ কোটি পাউন্ডের সম্পদ কেনা হয়েছে যার অর্থের উৎস সন্দেহজনক।