শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই জোরালো হতে শুরু করে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে কোন চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সরকারে আগাম বার্তায় মুদ্রাবাজারে ক্রমাগত পাউন্ডের দরপতন হচ্ছে।
বরিসের ক্যাবিনেট সদস্যরা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা শুরু করতেই সোমবার আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মূল্য ১.১ শতাংশ কমে যায়। যা ২০১৭ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন ।
এছাড়া প্রতি ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের ১ শতাংশ দরপতন হয়। গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র স্ট্র্যাটেজিস্ট সীমা সাহা বলেছেন, যদি এই অবস্থা বন্ধ করা না যায় তবে পাউন্ডের ক্রমাগত দরপতন ঘটবে।
ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের অবস্থান ১.১৮ শতাংশ মানে আমাদের চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের প্রস্তুতি বদলাতে হবে। পাউন্ডের দরপতন ব্রিটেনের গ্রীষ্মকালীন পর্যটকদের জন্যও খারাপ খবর ডেকে এনেছে।
ফায়ারফক্সের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক জেমস হিকম্যান বলেন, ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে তাদের ইউরো বা ডলার কেনার সময় পাউন্ডের বিপরীতে কম মুদ্রা পাবেন। কঠোর ব্রেক্সিটের খবরে বাজার দুর্বল হয়ে পড়েছে।
কেউ যদি আগস্টে বিদেশ যেতে চান এটি হবে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সময়। তবে পাউন্ডের দরপতনকে আপাতত পাত্তা দিচ্ছেন না বরিস।
কঠোর অবস্থান বজায় রেখে বলেছেন, ইউরোপ যদি থেরেসার সঙ্গে করা ব্রেক্সিট চুক্তি থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ব্রিটেনের নমনীয়তার বিষয়টি বাদ না দেয় তবে ইইউ নেতাদের সঙ্গে কোন আলোচনায় যাবেন না তিনি।