শীর্ষবিন্দু নিউজ: আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউরোপীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সম্মেলনে নিজের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন তিনি। এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস।
কিন্তু সম্প্রতি ইউরোপীয় নেতারা তার বর্তমান চুক্তিটি গ্রহণ করবেন না। এমতাবস্থায় নিজের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় নেমেছেন জনসন। এজন্য রোববার রাতে বেশ কয়েকজন ইইউ নেতার সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন তিনি।
সোমবার আরো কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে তার। খবরে বলা হয়, জনসনের বর্তমান প্রস্তাবিত চুক্তি অনুসারে, ২০২১ সাল পর্যন্ত ইইউ’র একক কাস্টমস ইউনিয়নের আওতাধীন থাকবে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড (বৃটেনের অংশ)।
২০২১ সালে দিকে বৃটেনের সঙ্গে ইইউ’র কাস্টমস ইউনিয়ন ত্যাগ করবে দেশটি। তবে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড চাইলে কাস্টমস ইউনিয়নে থাকার জন্য ইইউ’র কাছে চুক্তির আবেদন করতে পারে। প্রতি চার বছর পর পর এই চুক্তি নবায়ন করতে হবে।
এছাড়া, বৃটেন ও ইইউ’র মধ্যে আয়ারল্যান্ড (ইইউ’র অংশ) ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ব্যবহার করে পণ্য আনা-নেয়ায় কাস্টমস চেক আরোপিত হবে। সাথে থাকবে স্বল্প পরিমাণের শারীরিক তল্লাসিও।
আয়ারল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মধ্যে পণ্য আনা-নেয়া অব্যাহত রাখতে জনসনের উপরে উল্লিখিত প্রস্তাব গ্রহণ করেনি ইইউ নেতারা। এ নিয়ে রোববার রাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন সহ একাধিক ইইউ নেতার সঙ্গে ফোনকলে কথা বলেছেন তিনি।
তিনি ম্যাক্রনকে বলেন, চুক্তি করার এটাই শেষ সুযোগ। অন্যদিকে, ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী আন্তি রিনে বলেন, জনসন বুঝতে পারছেন যে, তিনি বড় ধরনের ঝামেলায় ফেঁসে গেছেন।
এখানে উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের বর্তমান প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন রিনে। এদিকে, লাটভিয়ান প্রধানমন্ত্রী আরতুর্স ক্রিসজানিস কার্নিস বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তি নিশ্চিত করা আকাশ কুসুম কল্পনার সমান।
সোমবার আরো কয়েকজন ইউরোপীয় নেতার সঙ্গে ফোনালাপের কথা রয়েছে জনসনের। ইউরোপীয় নেতারা জনসনের কাছ থেকে ব্রেক্সিট সম্প্রসারণের অনুরোধ প্রত্যাশা করছেন।
কিন্তু জনসন জানিয়েছেন, তিনি তেমনটা না করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। ১৯ অক্টোবরের মধ্যে বৃটিশ সাংসদরা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বা জনসনের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিটের অনুমোদন না দিলে ইইউ’র কাছে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা পেছানোর অনুরোধ করতে বাধ্য হবে জনসন।
এজন্য গত মাসে ‘বেন এক্ট’ নামে একটি আইন পাস করেছে বৃটিশ পার্লামেন্ট। জনসনের অ্যাটর্নি জেনারেল জিওফ্রে কক্স জানিয়েছেন, জনসন যদি ইইউ’র কাছে সময়সীমা বৃদ্ধির অনুরোধ না করেন তাহলে পদত্যাগ করবেন তিনি।