শীর্ষবিন্দু নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমানবন্দর চলবে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক নিয়মে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিকমানের নিশ্চিত করতে কেউ কোনও বাধা দিতে পারবে না। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের মেনে নিতে হবে। এতে কোনও বাধা দেওয়া যাবে না। দেশের কোথায় কী হচ্ছে সে বিষয়ে আমার সার্বক্ষণিক নজরদারি আছে। বিমানের সুনাম বাড়াতে কাজ করছি।
শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের ড্রিমলাইনার ‘অচিন পাখি’ ও ‘সোনার তরী’ উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের লক্ষ্য বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন। আমরা বিমানকে আরও উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ লক্ষ্যে নতুন দুটি ড্রিমলাইনার কেনা হয়েছে। ’৯৬ সালে আমরা সরকারে এসে অত্যাধুনিক ১২টি বিমান কিনেছি। শুধু বিমান কেনা নয়, বিমান যেন যথাযথভাবে চলে সেজন্য রক্ষণাবেক্ষণেও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকেও আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করা হবে। সে লক্ষ্যে নির্মাণ কাজ চলছে। নতুন দুটি ড্রিমলাইনার ‘অচিন পাখি’ ও ‘সোনার তরী’ সরকারের নিজস্ব টাকায় (রিজার্ভে) কেনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেই সক্ষমতা অর্জন করেছি। শুধু তাই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানপথগুলোও উন্নয়ন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ অ্যাপসের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনও জায়গা থেকে বিমানের টিকেট কিনতে পারবেন যাত্রী। নতুন এ অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক সেবা দেওয়া সম্ভব।
কার্গো বিমান ছাড়া বিমান লাভজনক হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে আমরা দুটি কার্গো বিমান কিনবো। যাত্রীসেবা নিশ্চিতে বিমান পরিচালনায় নিজস্ব কঠোর নীতিমালা থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা বাড়ানো হয়েছে। বিমানেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যাদের রেমিট্যান্স আমাদের দেশে আসে তাদের সুবিধা আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে। তারা যেন হয়রানির শিকার না হন সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নোয়াকি ইতো।