শীর্ষবিন্দু নিউজ: রোববার দুপুরে দক্ষিন লন্ডনের ব্যস্ততম রাস্তা স্ট্রেথাম হাই স্টিটে ছুরি হামলার পর পুলিশ এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছিল। হঠাৎ ছুরি নিয়ে তিন পথচারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া এই যুবকের পরিচয় প্রকাশ করেছে মেট পুুলিশ।
যুবকটি কেন এমন হামলা চালিয়েছে, তদন্তে নেমে সোমবার তার পরিচয় প্রকাশ করে লন্ডন পুলিশ। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, স্ট্র্যাথাম হাই রোডে প্রকাশ্য দিবালোকে বেশ কয়েকজন মানুষ ছুরি হামলার শিকার হয়েছেন এবং ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ছুরি হামলার ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও লন্ডনের এম্বুলেন্স সার্ভিস ঘটনাস্থলে কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে। স্যোশাল মিডিয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রোববার তারা তিনটি গুলির শব্দ শুনেছেন এবং ডাক্তাদেরকে কয়েকজন মানুষের চিকিৎসা করতে দেখেছেন।
লন্ডনের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার ‘লুসি ডি’ অরসির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম সুদেশ আম্মান। তার বয়স ২০ বছর। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি।
লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ লন্ডনে সুদেশ আম্মান নামের ২০ বছরের যুবককে গুলি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, তার নেপথ্যে রয়েছে সন্ত্রাসের অভিযোগ। দক্ষিণ লন্ডনে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে সুদেশের। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই হাড়হিম করা জঙ্গি যোগ উঠে আসতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ২০ বছরের আম্মানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘিরে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে তা হাড়হিম করতে বাধ্য! রাজনৈতিক খবর সমাজবাদী পার্টি বিএসপি বিজেডি আরজেডি ওয়াইএসআর কংগ্রেস টিআরএস জেডিএস ডিএমকে এআইএডিএমকে এআইএমআইএম বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেস সিপিএম আম আদমি পার্টি শিবসেনা সমাজবাদী পার্টি বিএসপি বিজেডি আরজেডি ওয়াইএসআর কংগ্রেস টিআরএস জেডিএস ডিএমকে এআইএডিএমকে এআইএমআইএম বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেস সিপিএম আম আদমি পার্টি শিবসেনা সমাজবাদী পার্টি বিএসপি বিজেডি আরজেডি নজরদারিতে নিযুক্ত গোয়েন্দা খুন ও আম্মানের এনকাউন্টার!
দক্ষিণ লন্ডনের আম্মানের কার্যকলাপের ওপর বহুদিন ধরেই নজর ছিল ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের। আর এই নজরদারি চালাতে সাদা পোশাকের একাধিক গোয়েন্দা মোতায়েন করা হয়েছিল লন্ডন জুড়ে। আর সেই নজরদারি চালানোর সময়ই আম্মানের সন্জেহ হতেই দুই গোয়েন্দাকে নিমেষে ছুরির কোপ বসায় সে । এরপরই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় সুদেশ আম্মানের।
আম্মানের ল্যাপটপ কী বলছে? ধৃত আম্মানের ল্যাপটপ ব্রিটিশ পুলিশ যাচাই করতেই দেখতে পায় যে , তাতে সন্ত্রাস ও নাশকতা মূলক একাধিক সরঞ্জাম রয়েছে। রয়েছে বম্ব বানানো সম্পর্কে তথ্য। কিভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে হয়, সেই সম্পর্কেও রয়েছে তথ্য। Sponsored Penthouse Buyers Expect Top-of-the-Line Everything Mansion Global গার্লফ্রেন্ড যাতে তাঁর বাবা-মাকে খুন করেন, সেবিষয়ে চেষ্টা! আম্মানের নথি ও ল্যাপটপ ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে যে ইয়াজিদি মহিলাদের সে ‘দাস’ হিসাবে মনে করত। পাশাপাশি, সে দাবি করেছে যে মহিলাদের ধর্ষণ যুক্তিযুক্ত।
এমনকি নিজের গার্লফ্রেন্ডে যাতে তাঁর বাবা-মাকে নিজের হাতে মুন্ডচ্ছেদ করে দেন সেই চেষ্টাও বার বার করে গিয়েছে আম্মান। এই সমস্ত তথ্যে পুলিশ মনে করছে মৃত আম্মান উগ্রবাদী ভাবনাচিন্তার আঁতুর ঘর ছিল।
উল্লেখ্য, রোববার বেলা ২টার দিকে লন্ডনের দক্ষিণাঞ্চলে স্ট্রিথহ্যামে পথচারীদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় ওই যুবক। হামলার সময় তার বুকে একটি পেটি বাঁধা ছিল। যাকে প্রথমে বিস্ফোরক ভাবেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।
গুলি করে হত্যার পর জানা যায়, ভুয়া বিস্ফোরক ডিভাইস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন ওই যুবক। হামলাকারী পূর্বের সন্ত্রাসী হামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামী। সন্ত্রাসী কাজে সংশ্লিতার দায়ে প্রায় এক সপ্তাহ সে তিন বছর চার মাস সাজা ভোগের পর মুক্তি পেয়েছিল সে।
২০১৮ সালের মে মাসে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর নভেম্বর মাসে লন্ডনের ওল্ডবেইলি কোর্টে সন্ত্রাসে জড়িত থাকার ৬টি অভিযোগে তাকে তিন বছর চার মাসের সাজা দিয়েছিলেন বিচারক।