মুজিববর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে আজ বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৯তম বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় সাথে উদযাপন করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে ও সীমিত পরিসরে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। সকালে হাই কমিশন প্রাঙ্গণে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শহীদ পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, মুজিববর্ষে সে স্বাধীনতার ৪৯তম বার্ষিকী বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। এই ঐতিহাসিক দিনে আমি জাতির পিতা ও তাঁর শহীদ পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকার, জনগণ এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসি বাংলাদেশিদের সম্পর্ক ছিল অবিচ্ছেদ্য ও সুগভীর।
যুক্তরাজ্য প্রবাসি বাঙালিরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রিকগনাইজ বাংলাদেশ, স্টপ জেনোসাইড এবং রিলিজ বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে তুলে বাংলাদেশের বাইরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য আরেক ধরনের মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলেন। এজন্য আমি প্রবাসি বাংলাদেশিদেরও আন্তরিক ও গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
– লন্ডন, ২৬শে মার্চ ২০২০