শীর্ষবিন্দু নিউজ: শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা টেলিফোন করে খালেদা জিয়াকে পাননি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কায় দেশবাসীর উৎকণ্ঠার মধ্যে অবশেষে সরাসরি কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এরপর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার পর বিএনপি চেয়ারপারসনকে পুনরায় ফোন করে প্রায় ৩৭ মিনিট কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
এর আগে দুপুরে ফোন করেও বিরোধীদলীয় নেতাকে পাননি শেখ হাসিনা। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার বাড়ির টেলিফোনটি বিকল হয়ে আছে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর এডিসি বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন। শেখ হাসিনা এডিসির মোবাইল ফোনেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম। আমি রেড টেলিফোন থেকে নিজের হাতে ফোন করেছি। বারবার রিং হয়েছে। আমি দুঃখিত যে আপনি ধরতে পারেননি। ফোন ডেড, না কি ডেড করে রাখা হয়েছে, বলতে পারছি না। আগামীকাল আমি দেখব।
শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতাকে বলেন, ২৮ তারিখ রাতে খাওয়ার জন্য আপনাকে দাওয়াত করছি। যতজন খুশি নিয়ে আসতে পারেন। আমি আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি আগামী নির্বাচন সম্পর্কে গণভবনে আসার জন্য। গণভবনে বসে গুলশানের বাড়িতে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় হরতাল প্রত্যাহার করে আগামী সোমবার বৈঠকেরও আমন্ত্রণও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
নির্বাচনের আগে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি, তা আপনি জানেন। আপনি হরতাল প্রত্যাহার করে নেন। দেশ ও জনগণের স্বার্থে হরতাল প্রত্যাহার করেন,বিরোধীদলীয় নেতাকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাড়িতেই ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। কথা বলার পর বিএনপি জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
আগামী নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে কূটনীতিক ও রাজনৈতিক মহলের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সম্প্রতি দুই প্রধান দলের সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের টেলিফোন আলোচনায় সংলাপের আবহ তৈরি হয়। বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংলাপের উদ্যোগ নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠালে তাকে ফোন করেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
কোন ধরনের সংলাপ না হওয়ায় গতকাল শুক্রবার জনসভায় খালেদা জিয়ার সংলাপের উদ্যোগ নিতে সরকারকে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তার মধ্যে না হলে রোববার থেকে তিন দিনের হরতালের ঘোষণা দেন।