শীর্ষবিন্দু নিউজ, সিলেট: দেশে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের পার্দুভাব নিয়ে আতংকিত বৃহত্তর সিলেটের বাসিন্দারা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সিলেট শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
কিন্তু সিলেটবাসীর ভরসাস্থল শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এ যাবৎ ভর্তি হওয়া সকলের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। অর্থাৎ কারো শরীরে করোনাভাইরসা ধরা পড়েনি।
সিলেটে কোভিড-১৯ সন্দেহের সকল রোগীকে ভর্তি করা হয় নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। শুধু সিলেট জেলার নয় পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের করোনাভাইরাস সন্দেহের রোগীদেরও ভর্তি করা হয় এখানে।
জানা যায়, সিলেট বিভাগে মোট ৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ১ জন, মৌলভীবাজারে ১ জন, হবিগঞ্জে ১ জন ও সুনামগঞ্জের রয়েছেন ২ জন।
শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, করোনা সন্দেহে ১০৭ জন রোগী আসলেও ভর্তি করা হয় ৫৩ জনকে। বাকি ৫৪ জনকে কম সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। এই ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে ধরা পড়েনি করোনাভাইরাস।
জানা যায়, গত ৫ মার্চ হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ভর্তি করা হয় দুবাই প্রবাসী কানাইঘাটের এক যুবককে। তিনিই সিলেটে প্রথম করোনা সন্দেহের রোগী ছিলেন। ওই দিনই ঢাকা থেকে আইসিসিডিআর’র কর্মকর্তারা সিলেটে এসে পরীক্ষার জন্য তার শরীরের বিভিন্ন নমুনা নিয়ে যান। পরে তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল আসে নেগেটিভ।
এরপর যুক্তরাজ্য ফেরত এক নারীকে ভর্তি করা হয়েছিল শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশনে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান হাসপাতালে। পরে তার রিপোর্টে ধরা পড়েনি কোভিড-১৯। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর আইইডিসিআরের নিয়মানুযায়ী তাকে দাফন করা হয় নগরীর মানিকপীরের টিলায়।
ঠিক এরপরে করোনার উপসর্গ থাকায় যুক্তরাজ্য ফেরত আরেক নারীকে ভর্তি করা হয়েছিল শামসুদ্দিন হাসপাতালে। তাকে নিয়েও সারা সিলেটজুড়ে শঙ্কা বিরাজ করছিলো করোনার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নারীর শরীরেও করোনা পায়নি আইসিসিডিআর।
উল্লেখ্য, হাসপাতালে ভর্তি কারো শরীরে করোনা ধরা না পড়লেও সিলেটে করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া যায় গত ৫ এপ্রিল। ওসমানী হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন ছিলেন সিলেটে করোনা আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি। বুধবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।