শীর্ষবিন্দু নিউজ, ঢাকা: ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে রোববার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (১৮ এপ্রিল) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ ও সাম্প্রতি হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে শ্যামলীর ডিসি অফিসে নেওয়া হয়েছে। ডিসি অফিসের চারপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
দুপুরে নিজ কার্য লয়ে সাংবাদিকদের ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মামুনুলের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।ঐ মামলাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে নেওয়া হবে।
বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারিতে রাখার পর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে। মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ। জানালেন কোন পরিপ্রেক্ষিতে, কীভাবে হেফাজত নেতাকে গ্রেফতার করা হলো।
হারুন অর রশীদ বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা, থানায় হামলা, রেজিস্ট্রার অফিসে হামলা ভাঙচুরসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম, পাশাপাশি এসব মামলার তদন্ত করছিলাম। তদন্তে তার সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে সহিংসায় তার কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা?- এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সেদিনের ঘটনা আপনারা সবাই দেখেছেন।
ডিসি হারুন বলেন, পল্টন থানাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অধিকাংশ মামলা মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে। সে উস্কানিমূলক বক্তব্যও দিয়েছে। তার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকে হামলা করেছে। এসব ঘটনার পরে আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম। এখন সব ঘটনার অভিযোগের ব্যাপারে ও আমাদের মোহাম্মদপুর থানায় মামলার ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে, আমরা শুনেছি তাকে সেসব মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
Leave a Reply