শীর্ষবিন্দু নিউজ, লন্ডন: মুসলিম নারীদের বোরকা নিয়ে কটূক্তির দায়ে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের এক প্রতিবেদনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি অনুতপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষসহ বৈষম্যের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। খবরে বলা হয়, ২০১৮ সালে টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে মুসলিম নারীদের বোরকাকে ‘চিঠির বাক্স’ ও ‘ব্যাংক ডাকাতের’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই ঘটনায় পার্টির ইসলামফোবিয়া নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এজন্য ওই কটূক্তির দায়ে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা চেয়েছেন বরিস জনসন।
দলীয় প্রতিবেদনে জনসন বলেন, আমি যা বলেছি, তাতে যে অপরাধ হয়েছে-তা আমি জানি। আমার অবস্থানে থাকা একজন মানুষ সঠিক কাজটি করবে বলেই মানুষের প্রত্যাশা। কিন্তু সাংবাদিকতায় একজন মানুষকে অনেক স্বাধীনভাবে ভাষার ব্যবহার করতে হয়। কাজেই কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে আমি দুঃখিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্য ও অভিযোগ মোকাবেলা করতে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টি যেসব পদক্ষেপ নেয় তার সমালোচনার জবাবে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রস্তুত করেছেন যুক্তরাজ্যের সমতা ও মানবাধিকার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক স্মরণ সিং। এতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বরিস জনসন।
এক তদন্তে দেখা গেছে, স্থানীয় দলীয় সমিতি ও স্বতন্ত্র পর্যায়ে মুসলিমবিরোধী মনোভাব দেখা গেছে কিন্তু অভিযোগগুলো যেভাবে পরিচালিত হয়েছে তার প্রমাণ দিয়ে ‘প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ’ বলে দাবি করা হয়নি। তবে এটি স্বীকার করেছে যে, টরি পার্টির মধ্যে ‘মুসলিম বিরোধী মনোভাব একটি সমস্যা হিসাবে রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের সময় সাদিক খানের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যাক গোল্ডস্মিত। তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন জনসন। এর ফলে অনেকের মনে এই ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, টরি দল এবং তার নেতৃত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সংবেদনশীল।
Leave a Reply