সিলেটে ওসমানী যাদুঘরের গৃহীত কর্মসূচীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে বাধা প্রদান করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্যস্থ বঙ্গবীর ওসমানী মেমোরিয়েল ফাউণ্ডেশন ইউকের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
পূর্ব লণ্ডনের লণ্ডন এন্টার প্রাইজ একাডেমীতে সংগঠণের সভাপতি ও প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব কবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক খান জামাল নুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকসুদ ইবনে আজিজ লামা।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযাদ্ধা আবুল কাশেম খান, বীর মুক্তিযাদ্ধা আহবাব হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযাদ্ধা ও প্রবীন সাংবাদিক এম এ মান্নান, বীর মুক্তিযাদ্ধা সৈয়দ আব্দুল মাবুদ, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের চেয়ারপারসন ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান, টাওয়ার হ্যামলেটসের ডেপুটি স্পীকার কাউন্সিলার জেনেথ রহমান, সাপ্তাহিক বাংলা পোষ্টের সাবেক ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলহাজ্ব এ এস মোহাম্মদ চৌধুরী সিংকাপনী, কাউন্সিলার মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান ও ব্যারিষ্টার ফারাহ খান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম আবুতাহের চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ব্যারিষ্টার মাসুদ চৌধুরী, সাংবাদিক রহমত আলী, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইছবাহ উদ্দিন, সাংবাদিক মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, আমীর উদ্দিন আহমদ মাষ্টার, মিসেস ঝরনা চৌধুরী, মিসেস শোভা মতিন, সৈয়দ সুহেল আহমদ, হাজী ফারুক মিয়া, সুফি সুহেল আহমদ, সাংবাদিক আফসর উদ্দিন, মিসেস হেলেন ইসলাম, ময়নুল ইসলাম খান, খোন্দকার সাইদুজ্জামান, জামান সিদ্দিীকী, কবি শেখ মো: শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
কবিতা আবৃত্তি করেন- কবি শিহাবুজ্জামান কামাল। কোরআন তেলাওত করেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ ও দোয়া পরিচালনা করেন ব্রিকলেন মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথিরা বলেন- ইতিহাসের পাতা থেকে ওসমানীকে কখনো মোছা যাবে না। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হয়ে বেঁচে থাকবেন। যারা শেষ করতে চাইবে তাঁরাই একদিন শেষ হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধে ওসমানীর নেতৃত্ব ছিলো বলে মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছে। ওসমানী না থাকলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। গেরিলা যুদ্ধ না করলে পাক বাহিনী দূর্বল হতো না। সব সেক্টর কমাণ্ডারদের পরিচালনা ও গোটা মুক্তিযুদ্ধ একমাত্র এম এ ওসমানীর সুদক্ষ নেতৃত্বে সফল হয়েছে। ওসমানীকে কমাণ্ডার ইন চীফ বা সর্বাধিনায়ক হিসাবে অস্বীকার করলে মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে অস্বীকার করা হবে।
সভায় বক্তারা- মুক্তিযুদ্ধের সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড জেনারেল রব সহ ১১ জন সেক্টর কমাণ্ডারের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফা সহ সবাইকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন ও মর্যাদার দাবী জানান।
সভায় বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে সিলেট ওসমানী যাদুঘর কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচী বন্ধ করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। সভায় পাঠ্য বইয়ে ওসমানীর জীবন ইতিহাস তুলে ধরতে এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে জন্ম মৃত্যু দিবস পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয় ।
সভার সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে- বঙ্গবীর ওসমানী মেমোরিয়েল ফাউণ্ডেশন প্রতি বছর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন করবে এবং সারা দুনিয়ায় ওসমানী গণনীতি, আদর্শ ও বীরত্ব গাঁথা কাহিনী বিভিন্ন ভাষায় তুলে ধরবে। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply