নগরীর মজুমদারিতে বাসার ছাদ থেকে দুই বোনের লাশ উদ্ধার করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এই ঘটনায় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বৃহস্পতিবার বলেন, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে রহস্যজট অনেকটা খুলে যাবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে নিহত দুই বোনের মা ও দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত মঙ্গলবার ভোরে নগরীর মজুমদারি কোনাপাড়া ৩১ নম্বর বাসার ছাদ থেকে দুই বোনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন, মজুমদারি এলাকার মৃত কলিম উল্লার মেয়ে রানী বেগম (৩৮) ও ছোট বোন ফাতেমা বেগম (২৭)। তাদের মরদেহ ওই বাসার ছাদের একই পিলারের আলাদা দুটি রডে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছিলো। মঙ্গলবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর রাত ১০টার দিকে মজুমদারিতে মৃত দুই বোনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে হযরত মানিকপীর (রহ.) গোরস্তানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। জানাযায় তাদের আত্মীয় স্বজন ছাড়াও এলাকাবাসী অংশ নেন।
রানী ও ফাতেমার লাশ উদ্ধারের পর তাদের ভাই শেখ রাজন বলেন, বিয়ের আলাপ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাগ ও ক্ষোভ থেকে তার বোনেরা হত্যার পথ বেছে নিতে পারেন। রানী ও ফাতেমা ঘরে দরজা লাগিয়ে শুধু ক্রাইম পেট্রোলসহ বিদেশি টিভি চ্যানেলের সিরিয়ালগুলো দেখতেন বলেও জানান রাজন।
এদিকে, একসাথে দুই বোন আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। এই ঘটনার নেপথ্যে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধও থাকতে পারে বলে স্থানীয় অনেকের মন্তব্য। স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওই পরিবারে হরহামেশা ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
Leave a Reply