ইরান থেকে এসে যুক্তরাজ্যে থাকার আবেদন করা এক ব্যাক্তি লন্ডনের ইলফোর্ড এলাকায় থাকতেন। ইরান থেকে আসা ২৯ বছর বয়সী এই অ্যাসাইলাম আবেদনকারীর নাম হেওয়া রাহিমপুর।
ইরান থেকে এসে যুক্তরাজ্যে থাকার আবেদন করেন হেওয়া এবং যুক্তরাজ্যের হোম অফিস সেই আবেদন গ্রহনও করেন। রহিম বসবাস করতেন ইলফোর্ড এলাকায়। আর সেখানে বসেই প্রতিনিয়ত ইংলিশ চ্যানেল পার করে মানুষ আনা-নেওয়ার কাজের একটি পাচারকারী দল তৈরি করেন রাহিমপুর।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানব পাচারের অভিযোগে রহিমপুরকে গত বুধবার ৪ মে ইস্ট লন্ডনের ওয়ানস্টেড পার্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর ৫ মে তাকে ওয়েস্ট মিনিস্টার ক্রাইম কোর্টে হাজির করা হয়।
কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি ও বেলজিয়াম ওথোরিটিসের করা তদন্তের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় রাহিমপুরকে। মূলত বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানী থেকে অবৈধ নাগরিকদের ব্রিটেনে প্রবেশে কাজ করতেন রাহিমপুর।
ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির দেওয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালের অক্টোবর বেলজিয়াম ও ফরাসী সীমান্তের কাছে একটি নৌকা ও নদীর পর থেকে একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। আর এই সময় এই পাচারকরীদের দলে ছিলো হেওয়া রহিমপুরের নাম। আর এর পরেই এই অভিযুক্তকে ধরতে কাজ শুরু করে পুলিশ।
কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাহিমপুর কোর্টের কাছে পূর্ব লন্ডনের দুইটি ঠিকানা দিয়ে কোর্টকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করেন। এই ব্যক্তি অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে পালাতে সাহায্য করতেন। মূলত ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে সে তার অবৈধ কাজ করতেন। মূলত ইউরোপের দেশ গুলো থেকে অবৈধ নাগরিকদের সে ব্রিটেনে নিয়ে আসতো।
এদিকে কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে আবার শুনানী হবে। মূলত এটি একটি বড় অপরাধ চক্রের একটি ছোট নমুনা। তাই রাহিমপুর দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে উল্লেখযোগ্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কেননা এটি একটি বড় ও ঘৃনিত অপরাধ।
যদিও কোর্টে রাহিমপুরের পক্ষের আইনজীবী জানান, রাহিম জীবনে বেলজিয়ামে যায়নি। সে ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি পায়। তাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।
Leave a Reply