সিলেটরে বিশ্বনাথের খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে। আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের ধারবাহিক ত্রাণ বিতরনের অংশ হিসেবে সিলেটে পাচঁ শতাধিক পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ উদ্যেগ নেয়া হয়েছে ।
শুক্রবার ২৭ মে বাদ জুম্মাহ সিলেটের কেন্দ্রিয় কার্যালয় রহমান মনজিল, এলাহাবাদ ইসলামাবাদ, বিশ্বনাথ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়। ‘মানবতার কল্যাণে আমরা আপনাদের পাশে’ এই শ্লোগান নিয়ে শতাধিক অধিক পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন আর–রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট বাংলাদেশ সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মালিক।
এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী হাজী আবুল লেইসের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আব্দুল মালিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মুখলিছুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন- খাজাঞ্চী ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যন নিজাম সিদ্দিকী, আর–রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট উপদেষ্টা বাংলাদেশ এলাহাবাদ ইসলামিয় আলিম মাদরাসার আরবী প্রভাষক হযরত মাওলানা হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- জগন্নাথপুর চরা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ছালেহ আহমদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন পীর আমিনুর রহমান, এহসানুর রহমান, ফয়েজ আহমদ লিয়াকত আলী, কমর উদ্দীন। এআরইটি টিভি পরিচালক মাহফুজুর রহমান, মুস্তাফিজু রহমান, আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাষ্ট বাংলাদেশ স্থায়ী সদস্য ও এআরইটি টিভি নিয়মিত সহকারী পরিচালক হাফিজ মাহমুদুর রহমান ও আবিদুর রহমান, মুনিয়িমুর রহমান, হামিম, তোয়াছিন, সালমান সহ প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত অতিথিরা বলেন- যারা দিনমজুর, তারা পরিবার নিয়ে অভুক্ত থাকছে। ঘরে বাজার-সদাই শূন্য। আয়ের সব রকম উৎস বন্ধ। কোথা থেকে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা হবে তা তারা নিজেরাও জানে না। তারা বাধ্য হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে, কেউ এসে দু’মুঠো খাবার তাদের দেয় কিনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি- টানা দু’দিন না খেয়ে থাকা বৃদ্ধের খাবারের জন্য আহাজারির দৃশ্য। এরকম এক-দু’জন নয়, হাজার হাজার দরিদ্র দিনমজুর অনাহারে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এই সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে ইসলাম আমাদের শেখায় মানবিক হতে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। তাদের দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করে দিতে। পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় মহান আল্লাহ তায়ালা গরীব, অসহায়, দিনমজুর ও মিসকিনদের খাবার দান করার কথা বলেছেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি। অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কী? তা হচ্ছে দাসমুক্ত করা কিংবা দুর্যোগ ও সঙ্কটের দিনে এতিম আত্মীয়স্বজন ও ধুলো-ধূসরিত মিসকীনদের অন্নদান করা।
ইসলাম আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের কথা যেমন বলে, তেমন বলে মানব সেবার কথাও। রাসূল (সা.) বলেন, সমস্ত মাখলুক আল্লাহ তায়ালার পরিবারের মতো, আর তোমাদের মধ্যে তারাই আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয়, যারা তাঁর পরিবারের প্রতি বেশি দয়াশীল।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোতে কোনো পুণ্য নেই; পুণ্য আছে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতাগণ, সমস্ত কিতাব ও নবীদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে এবং আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবেসে আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, মুসাফির, সাহায্য প্রার্থীদের ও দাসমুক্তির জন্য অর্থ দান করলে, নামাজ কায়েম করলে, জাকাত প্রদান করলে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করলে, অর্থ সংকটে, দুঃখ-কষ্ট ও যুদ্ধ-সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে। (মূলত) এরাই হল সত্যপরায়ণ (এবং) এরাই হল আল্লাহভীরু।
Leave a Reply