ব্রিটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএসে)র হিসাবে ব্রিটেনে এপ্রিলে জীবনধারণের খরচ অথবা মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৯ ভাগ। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি।
সব রকম খাবারের দাম বেড়েছে ব্রিটেনে। সেই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে একেবারে কমদামি খাবারের দাম। সবচেয়ে কমদামি খাবার হলো পাস্তা। এপ্রিলে সেই পাস্তার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ।
অন্যদিকে কিছু ‘বাজেট ফুডের’ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা কমপক্ষে ১৫ ভাগ। সাধারণ যেসব খাবার, তাকে বাজেট ফুড বলা হয়। কিমা করা গরুর মাংস, পাউরুটি এবং চালের দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০টি বাজেট ফুডের গড় দাম সুপারমার্কেটগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৬.৭ ভাগ। এই হার মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে কিছুটা কম।
পাস্তা সহ বেশ কিছু পণ্যের দামে দ্রুত বৃদ্ধি সত্ত্বেও ওএনএসের বিশ্লেষণ বলছে, মুদিপণ্যের ক্ষেত্রেও একই রকমভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কম দামের পণ্যের। এ বছরের শুরুর দিকে দারিদ্রবিরোধী প্রচারক জ্যাক মনরো বৃহৎ সুপারমার্কেটগুলোর সমালোচনা করেন।
ব্রিটেনে সবচেয়ে জনপ্রিয় মুরগির মাংস। নানা কারণে এর দাম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। শতকরা হিসাবের বাইরে দেখা গেছে কিমা করা গরুর মাংসের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ৫০০ গ্রাম কিমা মাংসের দাম ৩২ পেন্স বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৩৪ পাউন্ড। মুরগির বুকের মাংসের ৬০০ গ্রামের দাম ২৮ পেন্স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৫০ পাউন্ড।
দোকানিদের দেয়া তথ্য মতে, শেলফে রাখা খাদ্যপণ্যগুলো থেকে মূল্য তালিকা সরিয়ে ফেলে অর্থ লুটে নিয়েছে। তার এ সমালোচনার পর উচ্চ মূল্যের পণ্যে দামের লেভেল লাগাতে বাধ্য হন দোকানিরা। যে প্রক্রিয়ায় মুদ্রাস্ফীতির হার হিসাব করা হয়েছে তারও সমালোচনা করেন তারা।
কারণ, এক্ষেত্রে ৭০০ পণ্যের দাম হিসাবে ধরা হয়েছে। দোকানিরা অভিযোগ করেন, এতে প্রকৃত জীবনধারণের খরচকে ভয়াবহভাবে খাটো করে দেখা হয়েছে। ওএনএস তার সর্বশেষ নিত্যদিনে প্রয়োজন এমন ৩০টি মুদিপণ্যের দাম ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সাতটি সুপারমার্কেটে পরিমাপ করে।
এতে দেখা যায় ‘ক্রিস্প’ বা মুচমুচে খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১৭ ভাগ। ব্রেড এবং কিমা করা গরুর মাংসের দাম বেড়েছে শতকরা ১৬ ভাগ। চালের দাম বেড়েশে শতকরা ১৫ ভাগ। আবার কিছু পণ্যের দাম কমেছে। আলুর দাম কমেছে শতকরা ১৪ ভাগ। চিজ, পিৎজা, চিপস, সস এবং আপেলের দাম কম রয়েছে।
Leave a Reply