গত বছর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও চ্যান্সেলর রিশি সুনাক ঘোষনা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে চাকরি দিতে স্পেশাল রিস্টার্ট স্কিমের আওতায় ২.৯ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ব্রিটেনের বিপুল সংখ্যক বেকার মানুষকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে ব্রিটিশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের পরেও ৯৩ শতাংশ মানুষ চাকরি পাচ্ছে না। বলা হয়েছিল এর মাধ্যমে বেকার মানুষদের কাজে ফেরাবে এবং তাদেরকে ১২ মাসেরও বেশি সময় সাপোর্ট দিবে।
কিন্তু লেবার পার্টির ছায়া কর্মসংস্থান মন্ত্রী, অ্যালিসন ম্যাকগভর্নের একটি লিখিত সংসদীয় প্রশ্নের উত্তরে প্রকাশিত পরিসংখ্যান দেখা যায়, ২২৬,৭৮৫ জনের মধ্যে মাত্র ১৬,১৮০ জন এই স্কিমটির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন।
অ্যালিসন ম্যাকগভর্নের বলেন, এটি সম্পুর্ন অগ্রহণযোগ্য একটি ব্যাপার। সরকার এখানে পুরোপুরি ব্যর্থ। এই খাতে ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে সার্কো, জি৪এস এবং ম্যাক্সিমাস প্রভৃতি সংস্থা দিয়ে কাজ করেও মানুষকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ব্রিটেনের নর্থ-সাউথ এবং গ্রেটার ম্যানচেস্টার অঞ্চলে এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। এই দুই অঞ্চলের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ চাকরিতে ঢুকতে পেরেছে।
ইন্সটিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট স্টাডিজের ডিরেক্টর টনি উইলসন বলেন, স্কিমটি চালু ক্ষেত্রে অনেক কম টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। কারণ মহামারীর সময় দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্ব পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক কম ছিল, ফলে শ্রমবাজার থেকে অনেক লোকের বাদ পড়ার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন (ডিডব্লিউপি)-এর কিকস্টার্ট স্কিমের আওতায় যুব বেকারত্ব প্রকল্পটি এই বছরের শুরুতে বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রকল্পে আড়াই লাখ যুবকের কর্মসংস্থান হওয়ার কথা থাকলেও ৯০ হাজারের চাকরি হয়েছে। এতে বাকি অর্থ ট্রেজারিতে ফেরত গেছে। রিস্টার্ট স্কিমের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে।
সরকার বেকারত্ব সংকট মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য তহবিল দানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের বেকারত্ব বেশি ছিল না। কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা অংশগ্রহণের সংকটের সম্মুখীন হচ্ছি। সুতরাং আমরা যে সংকটের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলাম তা থেকে ভিন্নধর্মী সংকট তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান এখনও প্রাক-মহামারী সময়ের চেয়েও অর্ধ মিলিয়ন নীচে। এছাড়া মানুষের অর্থনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা মহামারী শুরু হওয়ার আগের তুলনায় ৪ লাখ বেশি।
Leave a Reply