ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার পক্ষে পড়ে ২১১ ভোট আর বিপক্ষে পড়ে ১৪৮ ভোট। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
বরিস জনসন টোরি এমপিদের আস্থা ভোটে ২১১-১৪৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন। তার মানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকবেন। বরিস জনসনকে যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৮০টি ভোট পড়তে হতো। তাই তিনি তার পদে বহাল থাকছেন।
কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারাই অনাস্থা ভোটের আবেদন করার পর নিজের প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে শঙ্কায় পড়েছিলেন বরিস জনসন। তবে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হলেও তার সমর্থকরা আগেই জানিয়েছিলেন, এ ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাবেন না তিনি। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, টোরি এমপিদের এক বছরের মধ্যে একবারই আস্থা ভোটের অনুমতি দেওয়া হয়।তাই নতুন করে এ বছর আর এই সুযোগ থাকছে না।
২০১৮ সালে ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সেই অনাস্থা ভোটে রক্ষা পান। কিন্তু পরের বছরই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন।
২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণ চলার সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর ১০নং ডাইনিং স্ট্রিটে পার্টি করেন বরিস জনসন। এ বছরের শুরুতে সেগুলো ফাঁস হয়ে যায়। ওই সময় যুক্তরাজ্যের সকল নাগরিককে কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সাধারণ মানুষদের ঘরে বন্দি রেখে পার্টি করায় বরিস জনসনের ওপর ক্ষিপ্ত হন সকলে। তার পদত্যাগের দাবিতে আওয়াজ তোলেন অনেকে।
Leave a Reply