বিষয়টি সকলের সামনে আসে ডিপজলের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানকে ওমর সানি কষে চড় মারার পর। যদিও জায়েদ খান এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন, কিন্তু গোপন বিষয়টি থাকেনা গোপনে। বিয়ে বাড়িতে চিত্রজগতসহ সমাজের নানা স্তরের লোকই উপস্থিত ছিলেন। জায়েদ খান পিস্তলে হাত দিয়ে ওমর সানিকে গুলি করার কথাও বলেছেন।
শিল্পী সমিতির কর্মকর্তা যাদু আজাদও সপরিবারে বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমি ঠাস করে একটা আওয়াজ হতে শুনেছি, তারপর কথা কাটাকাটি হয় দু’জনের মধ্যে। এরপর ওমর সানি না খেয়েই হন হন করে বেরিয়ে যায়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার পর জায়েদ খান ডাক্তারের কাছেও গেছেন। কেন এমনটা করলেন ওমর সানি। মাত্র কিছুদিন আগে তারা জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’ ছবিতে কাজ করেছেন। সেখান থেকে ফিরে মৌসুমী-সানির বিপরীত মেরুতে অবস্থানকারী জায়েদ-মিশা সওদাগর প্যানেল থেকে মৌসুমী নির্বাচন করেন। মৌসুমী ও জায়েদ খানের মধ্যে সখ্য সেই সোনার চর ছবি থেকেই।
এরপর মৌসুমী চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন। এখন তার পরিবারের সকলেই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। সেখানে অবস্থান কালেও জায়েদ খান নিয়মিত মৌসুমীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর মৌসুমী ব্যতিক্রমী জীবন যাপন করছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, কি চাইছেন মৌসুমী? ওমর সানি নিজেও তার মনোভাব বুঝতে পারছেন না। এখন সংসারটা যাতে টিকে থাকে সে চেষ্টায় রত রয়েছেন ওমর সানি। মৌসুমী শাশুড়ি হয়েছেন গত করোনা কালেই। নিজেই পছন্দ করে ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। মেয়েও বিয়ের পর্যায়ে রয়েছে। মেয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছে। এই পরিস্থিতিতে মৌসুমী নিজেকে নিয়ে কি ভাবছেন?
ওমর সানি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগই করে যাচ্ছেন, সে মৌসুমীকে উত্যক্ত করছে। এদিকে, মৌসুমীর সঙ্গে বেশকিছু দিন ধরে দূরত্ব চলছে বলে স্বীকার করে নিলেন স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী।
সোমবার দুপুরে জাতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। ওমর সানী বলেন, আমি যা বলেছি স্পষ্ট করেই বলেছি। আমি শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলতে চাই। আমার পরিবারের প্রতি, মৌসুমীর প্রতি আমার প্রচণ্ড শ্রদ্ধা আছে, আমার ছেলে-মেয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। সে যা বলেছে, কি ভেবে বলেছে আই ডোন্ট নো। এ বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন যাবৎ একটু দূরত্ব তো চলছিল। চেষ্টা করছিলাম।
কিন্তু আপনারা ভালো জানবেন, ফোন রেকর্ড অনুযায়ী তার সাথে আমার ফোনেও কথা হচ্ছিল না। আমি তার ব্যাপারে মন্দ কথা, খারাপ কথা কিছুই বলবো না। কারণ সে স্টিল নাও আমার স্ত্রী। আমার সন্তানের মা।
একটা কথা বলতে চাই- আমি কি বলেছি না বলেছি সম্পূর্ণ আমার ছেলে ফারদিন আমার মেয়ে ফাইজা আছে। আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ আছে জায়েদ খান যে ডিস্টার্ব করে। ফারদিন বলুক আর ফাইজা বলুক। আমার ছেলে-মেয়েরা বলুক এই বিষয়গুলো। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে চাই না।
Leave a Reply